সমকামিতা কি জেনেটিক কোন ত্রুটির কারনে ঘটে? এই বিষয়ে গবেষণার নাম হচ্ছে সার্চ ফর গে জীন। আমেরিক্যান জীন বিশেষজ্ঞ ডিন হ্যামার এই বিষয়ে ১৯৯৩ সালে সমকামিতার সাথে জেনেটিক কারণ খুজতে বিশাল গবেষণা করেন। পত্রিকায় বিশাল হেড লাইন আসে “Researchers find gay gene”. ইন্ডিপেনডেন্টের খবর দেখুন।
অথচ ডিন হ্যামার নিজেই বলেছেন,
“We have not found gay gene-which we don’t think exists-for sexual orientation”
(তথ্যসূত্রঃ The Book of Man: The Human Genome Project and the Quest to Discover Our genetic heritage. By Walter Fred Bodmer, Robin McKie page 147)
মুল গবেষক একরকম কথা বলেন আর মিডিয়া আরেকরকম কথা বলে কেন? এখানেই রাজনীতি। এতাকেই আমি বলতে চাই সমকামিতার রাজনীতি বলে।
সমকামিতা কি জেনেটিক মিউটেশনের কারনে হতে পারে?
জেনেটিক মিউটেশনের হার জনগোষ্ঠীতে খুব কম। একক জীনের মিউটেশনের কারনে যে যে বিশেষ সমস্যা হয় সেগুলো একসাথে করলেও তা সমগ্র জনগোষ্ঠীর ১ শতাংশের বেশী হবেনা। কিন্তু আমরা আগেই দেখেছি সমকামিতার হার জনগোষ্ঠীতে কমপক্ষে ২।৪%। এই হার জেনেটিক মিউটেশন হওয়ার জন্য অনেক বেশী। এই হারে কোন ধরণের জেনেটিক মিউটেশন হতে পারেনা।
জেনেটিক মিউটেশনের সাথে সমকামিতার তুলনামুলক হার দেখুন।
ধরা যাক সমকামিতা একটি জীনগত ত্রুটি। এবার দেখুন জীনগত ত্রুটি সারাতে পরিবেশগত প্রভাব কাজে লাগে কী? এ বিষয়ে আরেকটা খুব কৌতূহল উদ্দীপক গবেষণা হয়েছিল। ইদুর দিয়ে। এটা মনে রাখবেন ইদুরের ৩০ টা জেনারেশন মানুষের ১০০০ বছরের জেনারেশনের সমান। ইদুর সাধারণত মানুষ দেখলে ভয় পায়। এই গবেষণায় ভয়ের জীন বৈজ্ঞানিকভাবে জটিল পদ্ধতিতে অপসারিত করতে করতে তিরিশটি প্রজন্মের পর যে পরমানে ইদুর তৈরি করা গিয়েছিল যারা মানুষ দেখলে ভয় পাবে না, তার চেয়ে অনেক বেশী ভয়হীন ইদুর পাওয়া গিয়েছিল এক প্রজন্মেই যখন সেই ইঁদুরদের এক প্রজন্মেই সেই ইঁদুরদের বিহেভেরাল থেরাপি দেয়া হলো।
মানসিক রোগের উপসর্গ যেই মাত্রায় একটি জনগোষ্ঠীতে হয়ে থাকে সেই একই মাত্রায় সমকামিতায় কিছু মানুষ আক্রান্ত হয়। সমকামিতাকে মানসিক সমসসায় স্পেকট্রামে খুব সহজেই ফিট করা সম্ভব।
সমকামিতার প্রতিকারে বিহেভেরাল থেরাপি চেষ্টা করা যেতে পারতো কিন্তু সেই কাজ না করে এই সমকামিতাকে স্বাভাবিক যৌনাচার বলে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সকল প্রচেষ্টা নিবেদিত করেছে।