বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারণা এক্সপ্রেস ইন্সুরেন্সের
পুঁজিবাজারে এসেই আইন লঙ্ঘন শুরু এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের
:: আপডেট: ২০২০-০৯-১৫ ১২:০০:৪৬
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েই বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারণা শুরু করেছে বীমা খাতের এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। লঙ্ঘন করছে আইন। প্রতারণার দায়ে তলব করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি)।
কোম্পানি সূত্র মতে, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩১ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১২ পয়সা। গত বছরের তুলনায় ভালো মুনাফা করার পরও কোন লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। এর মাধ্যমে আইন লঙ্ঘন করেছে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ফলে বিএসইসি তলব করেছে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে।
আয়কর অধ্যাদেশ ১৬ ধারার জি-তে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোন অর্থ বছরে কর-পরবর্তী নিট মুনাফার সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ রিটেইন আর্নিংস, ফান্ড, সার্ভিস অথবা সারপ্লাস হিসেবে রাখতে পারবে। অর্থাৎ মুনাফার ৩০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদেরকে বোনাস বা নগদ লভ্যাংশ হিসেবে দিতে হবে। একই সাথে কোম্পানিটি আয়কর রিটার্ন দাখিল করার আগেই তাকে লভ্যাংশ আকারে শেয়ারহোল্ডারদেরকে দিতে হবে। লভ্যাংশ না দিলে এর জন্য অতিরিক্ত ১০ শতাংশ কর দিতে হবে। এটি কোনভাবেই সমন্বয় করা যাবে না।
এদিকে মুনাফা করার পরও লভ্যাংশ না দেওয়ায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে তলব করেছে বিএসইসি। কোম্পানির জন্য আসতে পারে কঠিন বার্তাও। এ বিষয়ে যোগাযোগ করে হলে কোম্পানি সচিব লিয়াকত আলী খাক সানবিডিকে বলেন, আমি বিএসইসিতে আছি। এখন কথা বলতে পারবে না বলে জানান।
উল্লেখ, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে গত ২৪ আগস্ট। এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭১৯তম সভায় কোম্পানিটিকে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়। কোম্পানিটি ২৬ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলনের জন্য পুঁজিবাজারে ২ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার সাধারণ শেয়ার ছেড়েছে। সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের দর কমেছে ৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ। সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৩১ টাকা ৯০ পয়সায়।