প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় খালেদা জিয়ার তৎকালীন মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, প্রতিমন্ত্রী ও তার পুত্র সরাসরি জড়িত। এতে কোনো সন্দেহ থাকার কারণ নেই। কারণ ধীরে ধীরে তদন্তের মাধ্যমে এগুলো বেরিয়ে এসেছে।’
বুধবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শাপলা হলে ‘অসুস্থ, অস্বচ্ছল ও দুর্ঘটনায় আহত-নিহত সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে চেক হস্তান্তরকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওই হামলার পর কোনো আলামত তারা রক্ষা করেনি। বরং যত দ্রুত সম্ভব আলামতগুলো ধ্বংস করে ফেলে। এমনকি যে ১৩টি গ্রেনেড ছোড়া হয়েছিল, তার মধ্যে একটি গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়নি। সেই গ্রেনেডটি এক সামরিক অফিসার উদ্ধার করে সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলেন। তার কারণে চাকরিতে তাকে অনেক অসুবিধায় পড়তে হয়।’
তিনি বলেন, ‘ওই গ্রেনেড হামলার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে একটি গ্রেনেড পাওয়া যায়। কেন্দ্রীয় কারাগারে এই গ্রেনেড কীভাবে গেল? জানি না এটা কখনো কেউ তদন্ত করে বের করেছে কি না। এই ঘটনার রহস্য এখনো উন্মোচিত হয়নি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই ঘটনাগুলো কিন্তু কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। আমরা ১৯৯৬ সালে সরকারে ছিলাম। আমরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছি। মানুষ তার সুফল পেয়েছে। সেই সুফলগুলো নষ্ট করা এবং মানুষকে আবার অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়া এটাই ছিল তাদের চেষ্ট।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে বর্তমানে অনলাইন পত্রিকা ব্যাপকভাবে বের হচ্ছে। তবে এর কোনো নীতিমালা নেই। ইতিমধ্যে আমরা অনলাইন পত্রিকার নীতিমালা নিয়ে কাজ করছি। সকলেরই উচিত নীতিমালায় আসা। অনলাইন পত্রিকার জন্যে নীতিমালা জরুরি। আমরা আশা করি খুব তাড়াতাড়ি অনলাইন পত্রিকার নীতিমালা হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাংবাদিকদের কল্যাণে ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট’ স্থাপনে আমার ব্যক্তিগত আগ্রহ কাজ করেছে। আপনারা সাংবাদিকরা কেউ কিন্তু আমাকে কোনো ধরনের পরামর্শ দেননি। আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে নিজ উদ্যোগে করেছি। কেননা জাতির পিতা সংবাদপত্রে কাজ করতেন।’
সাংবাদিক হত্যার বিচার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা একজন সাংবাদিক হত্যার বিচার করেছি। আস্তে আস্তে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে। তবে সাংবাদিক হত্যার বিচারের জন্যে সবার সহযোগিতা দরকার।’
সানবিডি/ঢাকা/আরবি/এসএস