বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা শুধু তাদের নয়; বরং স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে যুগপৎ আন্দোলনে শামিল সব দল ও সংগঠনের সম্মিলিত মতামতের প্রতিফলন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির উদ্যোগে `রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি' শীর্ষক মানিকগঞ্জ, নরসিংদী ও মুন্সীগঞ্জ জেলার প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ৩১ দফা শুধু বিএনপির কথা নয়। বিএনপির ছিল ২৭ দফা। পরবর্তীতে স্বৈরাচার সরকারের পতনে বিএনপির সঙ্গে যারা যুগপৎ আন্দোলন করেছে, সেই সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এই ৩১ দফা তৈরি হয়েছে। সুতরাং, স্বৈরাচারবিরোধী সবার সম্মিলিত মতামতের প্রতিফলন বিএনপির এই ৩১ দফা।
তিনি বলেন, এর বাইরেও যদি কারও যুক্তিসঙ্গত মতামত থাকে, সেগুলোও বিএনপি তাদের ৩১ দফার সঙ্গে যুক্ত করতে রাজি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যে শুধু বলার জন্য ৩১ দফার কথা বলছি তা না। বরং আমরা যে এসব বাস্তবায়ন করব এবং করতে সক্ষম তার অনেক প্রমাণ আছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তীতে বিএনপিই এ দেশে খাল খননের মাধ্যমে একদিকে যেমন পানির সমস্যা দূর করেছিল, তেমনি খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ করেছিল।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপিই প্রথম এদেশ থেকে খাদ্য রপ্তানি করেছিল। বিএনপিই দেশের নারীদের শিক্ষিত করার জন্য ইন্টারমিডিয়েট-ডিগ্রি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক করেছিল, বিএনপিই এদেশে শিক্ষাকে উৎসাহিত করার জন্য শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি চালু করেছিল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে দুটি দল আছে, সে নিশীরাতের সরকারই হোক আর অন্তর্বর্তীই হোক, দুটি বিষয় নিয়ে বড়াই করে। একটি হচ্ছে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স, আরেকটি হচ্ছে গার্মেন্টস শিল্প। অথচ দুটিই তো বিএনপিই করেছিল, এ দেশের স্বার্থে, এ দেশের মানুষের স্বার্থে। বিএনপির আমলেই ৮০ হাজার কলকারখানা স্থাপন হয়েছিল সারা দেশে।
বিএনপি মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে মন্তব্য করে তারেক রহমান আরও বলেন, বিএনপির আমলে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে শত শত মামলা হয়নি। কারণ, আমরা বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।
বিএইচ