পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে তিনটি কোম্পানি। কোম্পানি দুটি হলো এস্কয়ার নিট কম্পোজিট, রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড পরিবর্তন নিউ লাইন ক্লোথিংস লিমিটেড । এর মধ্যে এস্কয়ার নিট কম্পোজিট,রানার অটোমোবাইলস দুই স্টক এক্সচেঞ্জে তালিতাভুক্ত হয়েছে। একই সঙ্গে আইপিও লটারিতে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ারহোল্ডারদের বিও হিসেবেও শেয়ার জমা হয়েছে। আর তালিকাভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে নিউ লাইন ক্লোথিংস লিমিটেড।
জানা গেছে, সম্প্রতি পুঁজিবাজারের লেনদেনে তেমন গতি নেই। লেনদেনে কীভাবে গতি বাড়ানো যায়, সেই বিষয় ঠিক করতে গত সোমবার টপ ব্রোকারদের নিয়ে বৈঠক করে ডিএসই। বৈঠকে উঠে আসে বাজারের বিভিন্ন সমস্যা। এর মধ্যে অন্যতম একটি ছিলো বাজার ঠিক না হতে নতুন কোম্পানির লেনদেন শুরু না করা। বৈঠকে উপস্থিত এমন একজন ব্যক্তি সানবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর এক কর্মকর্তা সানবিডিকে বলেন, এটি আমাদের অঘোষিত এমন একটি সিদ্ধান্ত আছে, বাজারের অবস্থা ভালো না হলো নতুন কোম্পানির লেনদেন শুরু না করার বিষয়ে। সোমবারের বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বাজারের গতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিবো।
এস্কয়ার নিট কম্পোজিট:
সূত্র মতে,চলতি মাসের ৭ তারিখ সিডিবিএলের মাধ্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) বরাদ্দ পাওয়া শেয়ারহোল্ডারদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে শেয়ার জমা হয়েছে। এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি আইপিও লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। গত ৬ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদন গ্রহণ করা হয়।
৩০ জুন, ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫২ পয়সা। আলোচ্য বছরে কোম্পানির সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন পরবর্তী শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ৪৫ টাকা ৮৩ পয়সা। আর পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া এনএভি ২৫ টাকা ৯৬ পয়সা।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। আর রেজিস্ট্রার টু দ্য ইস্যুর দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
রানার অটোমোবাইল:
অন্যদিকে গত ৪ মার্চ রানার অটোমোবাইলের প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।আর গত ২৫ মার্চ (সোমবার) আইপিও লটারিতে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার সিডিবিএলের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের নিজ নিজ বিও হিসাবে জমা হয়েছে।
এর আগে কোম্পানিটি ৩১ জানয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, আইপিওর চাঁদা গ্রহণ করে। রানার অটোমোবাইলকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ১০০ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলনের জন্য প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ার ইস্যু করার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। কোম্পানিটি ১ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার ৩৪৮টি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করবে।
এর আগে গত ১০ জুলাই কোম্পানিটিকে প্রাথমিক গণ প্রস্তাব (আইপিও) এর মাধ্যমে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির বিডিং এর অনুমোদন দেয় কমিশন। রানার অটোমোবাইল লিমিটেড আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে।
আইপিওর মাধ্যমে সংগ্রহ করা টাকায় কোম্পানিটি গবেষনা ও উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যাংব ঋণ পরিশোধ ও প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের খরচ খাতে ব্যয় করবে।
৩০ জুন, ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৩১ পয়সা।
আলোচ্য বছরে কোম্পানির সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন পরবর্তী শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ৫৫ টাকা ৭০ পয়সা। আর পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া এনএভি ৪১ টাকা ৯৪ পয়সা।
নিউ লাইন ক্লোথিংস:
এদিকে গত ২৪ মার্চ কোম্পানিটির আইপিও’র লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নিউ লাইন ক্লোথিংসের আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। চলে ৩ মার্চ পর্যন্ত। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬৬৭তম সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রতিষ্ঠানটি আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে ৩০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। কোম্পানিটিকে ১০ টাকা ইস্যু মূল্যের ৩ কোটি সাধারণ শেয়ার আইপিও এর মাধ্যমে ইস্যু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত ৩০ কোটি টাকা দিয়ে যন্ত্রপাতি ও কলকব্জা ক্রয় এবং কারখানা ভবন সম্প্রসারণ, মেয়াদী ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও বাবদ খরচ করবে।
৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী পুন:মূল্যায়নসহ প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩১.৬৩ টাকা। আর সম্পদ পুন:মূল্যায়ন ছাড়া এনএভি হয়েছে ২০.৫২ টাকা। শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৮৫
উল্লেখ্য, কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, সন্ধানী লাইফ ফাইন্যান্স লিমিটেড এবং সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস লিমিটেড।