দীর্ঘ ৯ বছর পর আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুরে গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন তিনি। ঘোষণার পর নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী মান ও যোগ্যতা ধরে রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
আরো পড়ুন: এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা
সানবিডি২৪.কমের পাঠকদের জন্য এক নজরে কোনস্তরে কতগুলো প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হলো তা তুলেধরা হলো।
এবার ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা এলো। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজের সংখ্যা ১ হাজার ৬৫১টি, মাদরাসা ৫৫৭টি এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৫২২টি।
স্কুল-কলেজ:-
নতুন এমপিওভুক্তির মধ্যে নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪৩৯টি, ৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেণির মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১০৮টি, ৯ম-১০ম শ্রেণির মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৮৮৭টি, স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৬৮ টি, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ৯৩টি এবং ডিগ্রি কলেজ ৫৬টি।
মাদরাসা:-
আর নতুন এমপিওভুক্ত মাদরাসার মধ্যে দাখিল মাদরাসা সংখ্যা ৩৫৮টি, আলিম মাদরাসার সংখ্যা ১২৮টি, ফাযিল মাদরাসা ৪২টি ও কামিল মাদরাসা ২৯টি।
ভোকেশনাল:-
নতুন এমপিওভুক্ত কারিগরি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কৃষি ৬২টি, ভোকেশনাল স্বতন্ত্র ৪৮টি, ভোকেশনাল সংযুক্ত ১২৯টি, বিএম স্বতন্ত্র ১৭৫টি ও বিএম সংযুক্ত ১০৮টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হচ্ছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে বলেছে, অনুসন্ধানে ভুয়া একাডেমিক স্বীকৃতি ধরা পড়েছে ৪০টিরও বেশি। বাস্তবে এ সংখ্যা আরও বেশি। ছয় হাজারেরও বেশি আবেদনের এ ত্রুটি যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে, তালিকা ঘোষণার পরও যদি ধরা পড়ে তাহলে বাদ পড়বে।
উদাহরণ হিসেবে তারা বলেন, প্রকৃতপক্ষে একটা প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি পেয়েছে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে কিন্তু জালিয়াতি করে তা দেখানো হয়েছে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে। এভাবে ৪০টিরও বেশি ধরা পড়েছে। আরও হয়তো আছে।
এমপিও মানে মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার। প্রথমে ব্যক্তি উদ্যোগে স্কুল-কলেজ মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার সময় তারা এই মর্মে মুচলেকা দেন যে তারা নিজস্ব অর্থায়নে এই প্রতিষ্ঠানগুলো চালাবেন। কখনও সরকারের কাছে বেতন ভাতা চাইবেন না। কিন্তু প্রতিষ্ঠার কয়েকবছরের মধ্যেই এমপিওভুক্তির আবেদন করেন। এবং সময় সময় এমপিওর দাবিতে আমরণ অনশনের মতো কঠিন কর্মসূচিও পালন করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এমপিওভুক্ত হলে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা পান শিক্ষক-কর্মচারীরা। একজন সরকারি শিক্ষকের মূল বেতন স্কেলের সমপরিমান ও তার সাথে কিছু বাড়ীভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা পান এমপিওভুক্তরা। এছাড়া বৈশাখী ভাতা ও পাঁচ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস