দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারীদের টাকা আত্মসাত ও বন্ধের বিষয়ে তরিৎগতিতে সিদ্বান্ত নিতে চাচ্ছে ডিএসই।
রোববার ডিএসইর জরুরী পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ডিএসইর আরএডি বিভাগের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি আগামী ৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। এছাড়া ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের ব্যাংক হিসাবসহ সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব জব্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট জায়গায় চিঠি দেওয়া হয়েছে।
একটি বিস্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহিদ উল্লাহ দেশের মধ্যে অবস্থান করছেন। তাকে গ্রেফতারের জন্য আইন শৃঙ্খলাবাহিনী চেষ্টা করছে।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সদস্য ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ কোনো ঘোষণা ছাড়াই বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে ঝুলছে তালা।
গ্রাহকদের বিভিন্ন সময়ে চেক দিলেও ব্যাংকে জমা দেওয়ার পর তার ক্যাশ করা যাচ্ছে না। করোনার এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে গ্রাহকরা। দীর্ঘদিন মন্ধা থাকা পুঁজিবাজারে আবারে নেতিবাচক খবর। এতে করে আস্থা হারাচ্ছে বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহীদ উল্লাহসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা বিনিয়োগকারীদের টাকা আত্নসাৎ করে পালিয়ে গেছেন।
এদিকে অফিস বন্ধ পেয়ে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহীদ উল্লাহর ধানমন্ডি ৫ নাম্বারের বাসায় যান কয়েক জন বিনিয়োগকারী। কিন্তু বাসায় গিয়ে তারা কাউকে পাননি। আর ওই বাসায় কোনো আসবাবপত্র ছিল না, সম্পূর্ণ বাসা খালি ছিল বলে অভিযোগ করেছেন বিনিয়োগকারীরা।
সানবিডি/এসকেএস