পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ আনার জন্য সহায়ক পলিসির ঘাটতি রয়েছে। এটা সমাধান করা দরকার। এছাড়া ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের দিকে নজড় দিয়ে পুঁজিবাজারকে মৌলিকভাবে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব না। এগিয়ে নিতে হলে ক্ষুদ্র ও বড় সকল বিনিয়োগকারীদের স্বার্থকে গুরুত্ব দিতে হবে।
শনিবার (১৮ জুলাই) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) আয়োজিত ‘পুঁজিবাজারে করোনাভাইরাসের প্রভাব ও পুণ:রুদ্ধারের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) সভাপতি নিহাদ কবির এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনেক দেশের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার মতো কোম্পানির সংখ্যা খুবই কম বলে অভিযোগ করে। তাদের মতে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ৭-৮টা কোম্পানি আছে বিনিয়োগ করার মতো। এছাড়া স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব আছে বলে তারা অভিযোগ করে।
এমসিসিআই সভাপতি বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি আসে না বলে অভিযোগ আছে। এর পেছনে অন্যতম কারন হিসেবে রয়েছে সঠিক মূল্যায়ন না পাওয়া। এখানে লোকসান করা কোম্পানির দর বাড়ে।
তিনি বলেন, রেগুলেটরদের যথেষ্ট ইন্টারফেয়ার করার অভিযোগ আছে। শেয়ার বিক্রি না করার জন্য ফোন দিয়ে নির্দেশ দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। কিন্তু ব্রোকারেজ হাউজ গ্রাহকের নির্দেশে শেয়ার বিক্রি করতে বাধ্য। আগামিতে এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এছাড়া ডিএসইর এমডি কাজী সানাউল হক, সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম ও এমডি মামুন-উর-রশীদ, আইসিবির এমডি আবুল হোসেন, ডিবিএ সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি আজম জে চৌধুরী, ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর.এফ হুসাইনসহ অন্যান্যরা অংশগ্রহন করেন।
সানবিডি/এসকেএস