দীর্ঘ মন্দাভাবের পর কারেকশনের মধ্য দিয়ে ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে দেশের পুঁজিবাজার। আর এই ইতিবাচক ধারা স্থিতিশীল রাখতে কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. ফজলে করিমের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে তিনি এই আশ্বাস দেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্য ও ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক বৈঠক শেষ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ডিএসইর প্রতিনিধি দলে অংশ নেন চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান, পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান, সালমা নাসরিন, শাকিল রিজভী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক।
কাজী সানাউল হক বলেন, পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করার জন্য বর্তমানে মার্কেটে যে ট্রেন্ডটা দেখা যাচ্ছে- ইনশাআল্লাহ সরকার, স্টেক হোল্ডার, মার্চেন্ট ব্যাংক, মন্ত্রণালয়, সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সকলের সহযোগিতায় সুন্দর একটি প্লাটফর্ম তৈরি হয়ে গেছে। এখন এটাকে স্থিতিশীল রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও মানি মার্কেটের সমন্বয় থাকা জরুরি। আর এই সমন্বয়টা রাখার জন্যই আজ আমরা দীর্ঘ আলোচনা করেছি। আমাদের কোন কোন জায়গায় সাপোর্ট দরকার তা আমরা জানিয়েছি, উনারা (বাংলাদেশ ব্যাংক) আমাদের আশ্বস্ত করেছের।
তিনি বলন, বিশেষ করে অনেক বছর থেকে ট্রেজারি বন্ড স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত থাকলেও এগুলোর কোনো লেনদেন হচ্ছে না। বন্ডগুলোকে লেনদেনযোগ্য করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য স্টক এক্সচেঞ্জে আলাদা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। সেই প্ল্যাটফর্মকে কার্যকর করতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু কাজ থাকে। সেগুলো ফাইনাল স্টেজে চলে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক, সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ মিলে একটা রিপোর্ট ফাইনাল করেছে। শিগগিরই আমাদের একটা চুক্তি হবে। সেটা পাস হলেই এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে বাজারে লেনেদন হবে। সরকার বন্ড মার্কেটকে শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়েছে বলেই এটাকে আমরা প্রথমে নিয়ে আসছি।
তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলো বিনিয়োগের জন্য যে ২০০ কোটি টাকা তহবিলের সিদ্ধান্ত হয়েছিল সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আশ্বস্ত করেছে যে এই বিনিয়োগের বিষয়ে তারা প্রতিনিয়ত তদারকি করবে এবং ভবিষ্যতেও এ বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে।
ডিএসইতে অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট বোর্ড চালুর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে কাজী ছানাউল হক বলেন, কিছুদিনের মধ্যে এই বোর্ডও চালু হয়ে যাবে। এছাড়া পুঁজিবাজারে প্রণোদনার বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বেশ আন্তরিক। এটা চূড়ান্ত করতে অর্থমন্ত্রণালয়ের সম্মতি লাগবে। তারা মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনার উদ্যোগ নেবেন।