ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তে নির্বিচারে বাংলাদেশি হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যা বন্ধর দাবিতে প্রতীকি লাশ নিয়ে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্ত অভিমুখে একক পদযাত্রা শুরু করেছেন ‘হানিফ বাংলাদেশী’ নামে এক যুবক। গত ১১ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে তিনি রওনা দেন। তিনি চট্টগ্রামে সিএন্ড এফ এজেন্সিতে কমিশনে কাজ করেন।
গত রবিবার রাতে তিনি বগুড়ার শেরপুরে এসে পৌঁছান নোয়াখালী জেলার সদরের জাহানাবাদ গ্রামের আব্দুল ছেলে হানিফ। সেখানেই তিনি রাতযাপন করে সকালে বগুড়া শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। দুপুরে তিনি পায়ে হেঁটে বগুড়া শহরের সাতমাথায় পৌঁছান। বগুড়ায় রাতযাপন করে মঙ্গলবার সকালে তিনি কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
এর আগে ২০১৯ সালের ৬ মার্চ জনগণের ভোটাধিকারের জন্য প্রচারণা চালাতে পায়ে হেঁটে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। তেতুলিয়ায় গিয়ে পৌঁছান ওই বছরের ১২ এপ্রিল। এছাড়া একই বছরের ১২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দেশের ৬৪ জেলা প্রশাসক বরাবর তিনি স্মারক লিপি প্রদান করেন। জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারক লিপি প্রদান শেষে তিনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রতীকি লালকার্ড দেখান। এবার তিনি সীমান্তে হত্যা বন্ধের দাবিতে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম পর্যন্ত এই পদযাত্রা শুরু করেছেন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তিনি পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন বলে মনে করছেন।
তার এই অভিনব প্রতিবাদের ব্যাপারে হানিফ বাংলাদেশী বলেন, ‘সীমান্তে অধিকাংশ সময় গরু ব্যবসায়ীদের বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে। চোরাইপথে গরু নিয়ে আসা অপরাধ এটা সত্য, কিন্তু তাই বলে গুলি করে হত্যা করার অধিকার তাদের নেই। অপরাধ করলে তার শাস্তি প্রশাসন দেবে। তারা এভাবে নির্বিচারে বাংলাদেশি হত্যা করবে কেন? তারা যদি সীমান্তে গরু ব্যবসায়ীদের এভাবে হত্যা করে বিচারের দায়িত্ব নেন তাহলে শুধু বাংলাদেশিদের হত্যা কেন? যারা ভারত থেকে গরু সীমান্তে পৌঁছে দিচ্ছে তাদের কেন মারা হচ্ছে না? স্বাধীনতার পর গত ৪৮ বছরে ভারতীয় সীমান্তে প্রায় ৩২শ’র মতো বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। গত ২৫ বছরে প্রায় সাড়ে ১২শ’ এবং গত ১২ বছরে প্রায় ৬ শতাধিক বাংলাদেশিকে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এভাবে হত্যা করেছে। আমি চাই সীমান্তে এভাবে নির্বিচারে বাংলাদেশিদের পাখির মতো করে গুলি করে হত্যা করা বন্ধ হোক।’
সানবিডি/এনজে