ক্লাবগুলোকে গত পাঁচ বছরের ট্রফি তুলে দিয়ে দায় সারলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ক্লাবগুলো নিজেদের ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন। বাফুফে ময়দানে সৌভাগ্যবান শেখ রাসেল ক্লাব প্রিমিয়ার লিগে ২০১৪-১৫ মৌসুমের রানার্স আপ ট্রফিটি গত সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) পেয়েছে দলটি। গতকাল এমনই সব মিলিয়ে ২৩টি ট্রফি বিতরণ করেছে বাফুফে।
সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল, বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ, দ্বিতীয় বিভাগ, তৃতীয় বিভাগ মিলিয়ে ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৮-১৯ মৌসুম পর্যন্ত মোট ২৩টি ‘বকেয়া ট্রফি’ প্রাপ্যদের বুঝিয়ে দিয়েছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বাফুফে ময়দানে বেশ ঘটা করেই ক্লাব কর্মকর্তাদের হাতে ট্রফিগুলো তুলে দেয়া হয়। এসব ট্রফির মধ্যে আছে প্রিমিয়ার লিগের দুটি রানার্সআপ শিরোপা। বাকিগুলো অন্য স্তরের লিগগুলোর চ্যাম্পিয়ন, রানার্সআপ, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানের।
যেকোনো ক্লাব ও খেলোয়াড়ের জন্য ট্রফি তাদের স্বীকৃতির স্মারক। এমন একটা জিনিস দেরিতে পেলে তার আনন্দ কতটুকু থাকে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ২০১৮ সালে তৃতীয় বিভাগে চতুর্থ হওয়ার পুরস্কার নিতে আসা সাইফ স্পোর্টিংয়ের জুনিয়র দলের কামাল বাবু। তিনি বলেন, একটা ট্রফি ক্লাবের পরের বছরের অনুপ্রেরণার প্রতীক। কিন্তু সেটা যদি পাঁচ, ছয় বছর পর কারো হাতে তুলে দেয়া হয় তখন ক্লাবের কাছে এই ট্রফির কি মূল্য থাকে?
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ঘুরেফিরে অনেক কর্মকর্তার মুখে এসেছে আগামী ৩ অক্টোবরের নির্বাচনের প্রসঙ্গ। এভাবে দেরিতে পুরস্কার দেয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তারা। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ জানিয়েছেন, অনেক দলই অন্যান্য টুর্নামেন্ট নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এসব কারণে দেরিতে ট্রফি নিচ্ছে।
মহানগর লীগ কমিটির চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ বলেন, অনেক ক্লাব চায় তাদের যে পৃষ্ঠপোষক ও যারা মাঠে আসেন না, তাদের নিয়ে অনুষ্ঠান করে ট্রফিগুলো নিতে। এমন কারণেও ট্রফি দিতে দেরি হয়।
ট্রফির মতো পুরস্কারের অর্থও বকেয়া ছিল। এ ব্যাপারে পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ‘চেক তৈরি’ থাকার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এতদিন পুরস্কারের যে অর্থ বকেয়া ছিল, সেগুলোর চেক তৈরি আছে। প্রতিটি দল আজই হিসাব বিভাগ থেকে তাদের চেক বুঝে নিতে পারবে।
সান বিডি/নাজমুল/০২:৪২/২২.০৯.২০২০