নিহতের ভাই কায়ছার ও সহপাঠী মেহেদী জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে ওসমানকে গ্রেফতার করতে সীতাকুণ্ড থানার এএসআই ইকবালের নেতৃত্বে চারজন পুলিশ সদস্য সাদা পোশাকে তার বাড়িতে উপস্থিত হলে তিনি ভাত খাওয়া বন্ধ করে ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন।
এ সময় পুলিশও ওসমানের পিছু নেয়। শেষ পর্যন্ত কয়েকশ' গজ দূরে অপর একটি বাড়িতে গাছে ধাক্কা খেয়ে তিনি পড়ে গেলে এক পুলিশ সদস্য পিঠে গুলি করে তাকে হত্যা করে। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওসমানকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ঘটনার পর খবর পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশ সদস্যদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। পরে সেখানে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, হটাৎ ঘটে যাওয়া ওই ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। প্রকাশ্যে এক যুবককে হত্যা করায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এদিকে এলাকাবাসী ঘটনার জন্য পুলিশকে দায়ী করলেও পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইফতেখার হাসান বলেন, ওসমান জামায়াতের একজন শীর্ষ ক্যাডার। তার বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা আছে। এর মধ্যে চারটিতে ওয়ারেন্ট ছিল। তিনি আরও জানান, ওসমান এলাকায় আসছে খবর পেয়ে এএসআই ইকবালের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করতে যান। গ্রেফতার করে নিয়ে আসার সময় এলাকার নারী-পুরুষ মিলে ওসমানকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। ওসির দাবি, এ সময় ধস্তাধস্তির ঘটনায় এক কনস্টেবলের শর্টগান থেকে গুলি বের হয়ে ওসমান মারা যায়। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।