অষ্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া সৈকতে ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে এসে বালুতে আটকা পড়ে ২৭০ টির মতো তিমি।আটকে পড়া তিমির এক-তৃতীয়াংশ ইতিমধ্যে মারা গেছে। আরও মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকর্মীরা।
দ্বীপটির পশ্চিম উপকূলে তিমিদের আটকে পড়ার ঘটনা সোমবার চোখে পড়ে।খবর বিবিসির।
তিমির ঝাঁকটিকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করছেন সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানীরা। কৌশলপূর্ণ এই অপারেশনে কয়েক দিন লেগে যেতে পারে।
বিশ্বের বৃহত্তম স্তন্যপায়ী প্রজাতির এভাবে বালুচরে আটকে পড়ার কারণ জানা যায়নি। এ ধরনের ঘটনা নতুন না হলেও ২০০৯ সালের পর একই স্থানে এত সংখ্যক তিমির আটকে পড়া ও মৃত্যু ঘটেনি।
ম্যাককুরি হেডস নামের প্রত্যন্ত এলাকায় তিনটি ঝাঁকে তিমিগুলো আটকে পড়েছে। এই অঞ্চলে নৌযান ও সড়ক যোগাযোগ একদম সীমিত।
উদ্ধারকর্মীরা সোমবার বিকালে ওই স্থানে যান। তারা আকাশ থেকে শতাধিক তিমি আটকে পড়ার দৃশ্য দেখেন।
তারা বলছেন, ওই অঞ্চলে উদ্ধার কাজ খুবই কঠিন। অনেক তিমি এমন জায়গায় আটকে পড়েছে যেখানে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। এর মধ্যে অনেক তিমির আকার বেশ বড়, এটাও চ্যালেঞ্জের বিষয়।
এ ধরণের তিমি সাধারণত ৭ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়, ওজন ৩ টন হতে পারে।
মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এ তিমির ঝাঁক অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের উপকূলে চলাচল করে। গবেষকেরা জানান, তাদের মধ্যে শক্তিশালী সামাজিক বন্ধন রয়েছে। তারা নেতাকে অনুসরণ করে সব সময়। এ কারণে এত সংখ্যক তিমি একসঙ্গে আটকা পড়েছে।
২০১৮ সালে এ ধরনের একাধিক ঘটনায় এক সপ্তাহের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের পূর্ব উপকূলে দুই শতাধিক তিমি মারা যায়।
সানবিডি/এনজে