ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে (ডিএসসিসি) অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ক্যাবল অপসারণ এবং এডিস মশার প্রজননস্থল শনাক্তকরণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ধারাবাহিক অভিযান চলমান রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) অভিযানে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. ফয়সালের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত অঞ্চল-১ এর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সেগুনবাগিচা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান পরিচালনাকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত ২৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে একটিতে এডিস মশার লার্ভা পান। এতে আদালত এক মামলা ও নগদ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
একই সঙ্গে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌস ওয়াহিদের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত অঞ্চল ২ ও ৪ এর ৩১ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগর ও বংশাল এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি ৪১টি স্থাপনা পরিদর্শন করে তিনটিতে এডিসের লার্ভা এবং দুই স্থাপনায় এডিস মশার বংশ বিস্তার উপযোগী পরিবেশ খুঁজে পান। এ সময় তিনি তিনটি মামলা ও নগদ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া পরিস্থিতির উন্নতির জন্য দুটি স্থাপনা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেন।
এদিকে নিয়মিত উচ্ছেদ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ডিএসসিসির হাতিরপুল কাঁচা বাজারের সামনে থেকে ইস্টার্ন প্লাজা মার্কেট হয়ে ভুতের গলির সম্মুখভাগ পর্যন্ত এলাকায় অবৈধ ক্যাবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ। এ সময় রাস্তায় অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় বাধা দেয়ায় এক ব্যক্তির কাছ হতে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৯২ নম্বর ধারার ৮ উপধারায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আদালত এ সময় ১৫টি ইলেকট্রিক পোল হতে ক্যাবল অপসারণ করেন।
ডিএসসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালতের চলমান অভিযান সম্পর্কে করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, বর্তমানে অবৈধ ক্যাবল অপসারণ, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং এডিস মশার প্রজননস্থল শনাক্তে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। মেয়রের নির্দেশনা মোতাবেক এ সব কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।
ডিএসসিসির তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত আজ সব মিলিয়ে মোট পাঁচটি মামলা ও নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
সানবিডি/এনজে