প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সারবিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে বাংলাদেশ সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। বাংলাদেশ সব সময় চায় সারা বিশ্বে একটা শান্তি বজায় থাকুক। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেখানে নানা ধরনের বিরোধ আছে, সেখানে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে আমাদের স্বশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা অনেক। প্রত্যেকে সেখানে বিশেষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলায় দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণের ৪৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার আলোচনা সভা এবং ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে পরররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।
শান্তি রক্ষা মিশনে কাজ করতে গিয়ে জীবন দেয়া বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সরকার প্রধান বলেন, এই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ সব সময় প্রস্তুত। আমরা চাই সারা বিশ্বে শান্তি থাকুক।
দেশের উন্নয়ন ও মানুষের সুন্দর জীবন নিশ্চিতে সরকারের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সব থেকে গুরুত্ব দিয়েছি আমাদের খাদ্যের উপর। কারণ আমি জানি, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বে হয়ত দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে যেন কোনোমতে সেই দুর্ভিক্ষের ছোঁয়া না লাগে। তাই আমরা যতটুকু পারি খাদ্য উৎপাদন করা, খাদ্য বিতরণ করা, দরিদ্র মানুষকে বিনা পয়সায় খাদ্য দেয়া এবং খাদ্য নিশ্চয়তা দেবার চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।
দেশের অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সীমিত আকারে অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের জিডিপি যেটা টার্গেট ছিল যে ৮.২ শতাংশের উপরে যাব, সেটা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। আমরা এবার ৫.২৪ শতাংশের মত অর্জন করতে পেরেছি। কিন্তু আমরা আশা করি আগামীতে আমাদের প্রবৃদ্ধি আমরা আরও বেশি অর্জন করতে সক্ষম হব। আর সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
মুজিববর্ষে জতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার সংকল্পের কথা জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, প্রায় ৪০ শতাংশ দরিদ্র জনগোষ্ঠী ছিল, এই দারিদ্র্যের হার আমরা কমিয়ে ২০.৫ শতাংশে এনেছি। আমরা আরও কমাতে চাই। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষকে একটা সুন্দর জীবন আমরা উপহার দিতে চাই।
আর সেজন্য বিশ্বের অন্য দেশগুলোর সঙ্গে সহযেগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, এই বিশ্বে কেউ একা চলতে পারে না। তাই সবার সহযোগিতা আমাদের কাম্য। পাশাপাশি কাউকে কোনো ধরনের সহযোগিতা যদি করতে হয়, আমরা সেটা করতেও প্রস্তুত।
অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং ফরেন সার্ভিস একাডেমি প্রান্তে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সান বিডি/নাজমুল/০৬:২০/২৫.০৯.২০২০