হঠাৎ করেই ককেশাশ অঞ্চলের দুটি দেশ আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে ফের সামরিক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আজারবাইজানকে আর্মেনিয়া অভিযুক্ত করেছে যে, তারা কারাবাখ অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে আজারবাইজান অভিযোগ করেছে আর্মেনিয়া সমর্থিত সন্ত্রাসীরা আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে।
চলমান এই উত্তেজনায় যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে আর্মেনিয়া। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশেনিয়ান আজ জানিয়েছেন, আজারবাইজানের সঙ্গে সংঘর্ষের পর তাঁর দেশে সামরিক আইন জারি করা হয়েছে। আজারবাইজান তাঁর লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
আর্মেনিয়ান নাগরিকদের উদ্দেশ্যে একটি টেলিভিশনে ভাষণে তিনি বলেন, আজারবাইজানের স্বৈরাচারী সরকার তাদের বিরুদ্ধে আবার যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, দক্ষিণ ককেশাসে ‘যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে’ রয়েছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে উভয় পক্ষের জন্যই ‘অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতি’ ঘটতে পারে।
এদিকে, টান টান উত্তেজনার মধ্যে আজ দুদেশের প্রতি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছার ও আলোচনা শুরুর আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। তবে আজারবাইজানের পক্ষ নিয়েছে তুরস্ক। টুইটারে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এক টুইট পোস্টে বলেন, আর্মেনিয়ার নেতৃত্ব জনগণকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আর্মেনিয়ার জনগণকে তারা পুতুলের মতো ব্যবহার করছে। আমরা আক্রমণ ও নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পুরো বিশ্বকে আজারবাইজানের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই।
এ ব্যাপারে তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের আজারবাইজানীয় ভাইদের সমস্ত উপায় সমর্থন করব আমরা। আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার লড়াইয়ে সর্বাত্মকভাবে সমর্থন করব আমরা।
সূত্র: রিপাবলিক, আল-আরাবিয়া।
সানবিডি/এনজে/১০:২১/২৭.০৯.২০২০