এ বছরের মহান ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠক হবে। চলমান করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ওই সময় নরেন্দ্র মোদি ঢাকা সফর করবেন। অর্থাৎ ঢাকায় সশরীরে উপস্থিত থেকে বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে সেটি সম্ভব না হলে বৈঠকটি হবে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে। অর্থাৎ ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন দুই প্রধানমন্ত্রী।
আজ সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, বৈঠকে সমুদ্র সীমা, পানি কূটনীতিসহ একাধিক বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সই হতে পারে।
এসময পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এর মধ্যে আর নতুন কোনো চুক্তির দিকে যাচ্ছি না। কেননা কিছুদিন পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে আসবেন। না, আসবেন না, ভার্চুয়ালি একটি মিটিং হবে আগামী ডিসেম্বরে, বিজয় দিবসের দিন। তখন দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চুক্তি হলে ভালো হবে। এর মধ্যে কোভিড চলে গেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই সময় বাংলাদেশ সফর করবেন।’
এর আগে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত মুজিববর্ষ ঘোষণা করে সরকার। সেই মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল গত ১৭ মার্চ। এর আগেই দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ায় জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাস করা হয়। জানানো হয়, পরে সুবিধাজনক কোনো সময়ে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
মুজিববর্ষের স্থগিত হয়ে যাওয়া সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে তিনি আর ঢাকা আসতে পারেননি। বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় এর মধ্যেও আর কোনা সফর হয়নি তার।
এবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানালেন, আগামী আড়াই মাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা আসবেন মোদি। ওই সময়ই শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। আর পরিস্থিতি একইরকম থাকলে সফর অংশটি বাতিল হবে। দুই দেশের সরকারপ্রধান সেক্ষেত্রে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বৈঠক করবেন।
সানবিডি/এনজে/৯:২৫/২৮.০৯.২০২০