আর্মেনিয়ার দখলে থাকা আজারবাইজানের অধিকৃত ভূমি দ্রুত ছাড়তে আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। তিনি বলেন, এর মাধ্যমেই এই অঞ্চলে শান্তি পুনরায় আসবে। খবর-আনাদলু এজেন্সির।
সোমবার এরদোগান ইস্তাম্বুলে একটি অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, কারাবাখ দখলের মাধ্যমে এ অঞ্চলে যে সংকট শুরু হয়েছে তা অবশ্যই অবসান করতে হবে।
চলমান আর্মেনিয়ার সঙ্গে আজারবাইজানের সংঘর্ষের একদিন পরই এমন মন্তব্য করেছেন এরদোগান।
এর আগে রোববার এরদোগান এক টুইট বার্তায় ঘোষণা দেন, তুরস্ক সম্পূর্ণভাবে আজারবাইজানের পাশে রয়েছে। তিনি আর্মেনিয়ার জন্য নিন্দা না জানিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্বৈত্য নীতির সমালোচনা করেছেন।
একসময় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান– উভয় দেশই সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর দেশ দুটি স্বাধীন হয়। তার পর থেকে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে গত চার দশক ধরে বিরোধে জড়িয়ে আছে দুই প্রতিবেশী।
রোববার বিতর্কিত নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে প্রতিবেশী দেশ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে নতুন করে লড়াই শুরু হয়েছে। এই সংঘাতের জন্য একে অপরকে দায়ী করছে। আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, রোববার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১০ মিনিটের দিকে হামলা চালায় আজারবাইজান। এর জবাবে আর্মেনিয়ার বাহিনী প্রতিপক্ষের দুটি হেলিকপ্টার, তিনটি ড্রোন ভূপাতিত ও তিনটি ট্যাংক ধ্বংস করেছে। অন্যদিকে আজারবাইজান বলছে, হামলার শিকার হওয়ার পর তারা পাল্টা হামলা চালিয়েছে।
সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো লড়াই অব্যাহত রয়েছে। এতে মোট ২৩ জন নিহত হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়। তবে, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
এর আগে রাশিয়ায় নিযুক্ত আর্মেনিয়ার রাষ্ট্রদূত দাবি করেছেন, তুরস্ক উত্তর সিরিয়া থেকে ৪ হাজার যোদ্ধা আজারবাইজানের পাঠিয়েছে এবং তারা লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে। রাশিয়ান সংবাদ মাধ্যম ইন্টারফ্যাক্স ও রিয়া এজেন্সি প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
তবে নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সিরিয়া থেকে তুরস্কের সেনা পাঠানো বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে আজারবাইজান। সোমবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বিষয়টি অস্বীকার করেন।
প্রেসিডেন্টের সহযোগী খিকমেত গাদঝিয়েভ বলছেন, সিরিয়া থেকে আজারবাইজানে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি গুজব। এটি আর্মেনিয়ার পক্ষ থেকে আরেকটি উসকানি এবং সম্পূর্ণ বাজে কথা।
সানবিডি/এনজে/৮:৪১/২৯.০৯.২০২০