দুই প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়। কিন্তু দুটি কারণে এই সম্পর্কে আঘাত হানে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।তিনি বলেন এর প্রথম কারণ হলো-সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি হত্যা। আর দ্বিতীয় কারণ হলো-কোন ধরণের পূর্বঘোষণা ছাড়া হঠাৎ করে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেয়া।
এব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের মধ্যে যে দৃঢ় সম্পর্ক, সেটি একজন মারা গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেমন পেঁয়াজ একটি ছোট জিনিস। কিন্তু যখন দুর্ঘটনা হয় তখন এই সম্পর্কে আঘাত হানে।’
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন ও ভারতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে ষষ্ঠ যৌথ কনসালটেটিভ কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সীমান্ত হত্যা নিয়ে তিনি বলেন, ‘সীমান্ত হত্যার বিষয়ে দুই পক্ষ একমত হয়েছে এটিকে শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার। আমাদের দুই দেশের দায়িত্ব আছে এবং সেটি আমরা করবো। আমরা ভারত থেকে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আনি। যেমন পেঁয়াজ এবং সেটি হঠাৎ করে বন্ধ করে দিলে এর প্রভাব বাংলাদেশের বাজারের ওপর পড়ে।’
মোমেন বলেন, ‘আমরা দুই পক্ষ একমত হয়েছি যে কেউ যাতে না মারা যায়। যেসব অঞ্চলে মারা যায় সেখানে যৌথভাবে মনিটরিং করবো। এটা আমাদের জন্য লজ্জার, ভারতেরও জন্য লজ্জার।’
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ডিসেম্বরে ভার্চুয়াল বৈঠক হবে। দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকে কী হবে সেটি এখনও ঠিক করি নাই। আমরা সম্মত হয়েছি দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক হবে। এখন আমরা প্রস্তুতি নেবো। আমাদের হাতে সময় আছে। আমরা চাইবো বৈঠকটি যাতে তাৎপর্যপূর্ণ হয়।’
নদীর পানিবণ্টন নিয়ে দুই পক্ষ আলোচনা করেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিস্তা চুক্তি নিয়ে আমরা দুই পক্ষ সম্মত হয়েছি। আমরা জোর দিয়েছি এটির বিষয়ে। বাকি আরও ছয়টি নদীর মীমাংসা নিয়ে আলোচনা করেছি এবং তারা এ বিষয়ে যথেষ্ট আগ্রহ দেখিয়েছে।’
যৌথ নদী কমিশনের শেষ বৈঠক ২০১০ সালে হয়েছিল এবং এটি দ্রুত করার বিষয়ে দুই দেশ সম্মত হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আগে বৈঠক হয়নি এবং আমার মনে হয় যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত ছিল না। কিন্তু আমরা সম্মত হয়েছি, এটি হবে। কিন্তু কবে হবে সেটি জানি না।
সানবিডি/এনজে/১০:১৫/২৯.০৯.২০২০