নতুন সড়ক পরিবহন আইনে তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা বাধ্যতামূলক নয়। আর কোনও যানবাহনের এই বীমা না থাকলে মামলাও দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) একটি স্মারকলিপির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) পুলিশ মহাপরিদর্শককে স্মারকলিপির একটি কপি পাঠায় বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩-এর ধারা ১০৯ অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বিমা বাধ্যতামূলক ছিল এবং এর অধীনে ১৫৫ ধারায় দণ্ডের বিধান ছিল। তবে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ধারা ৬০-এর উপ-ধারায় (১), (২) ও (৩) অনুযায়ী এটি বাধ্যতামূলক নয়।
উপ-ধারা তিনটি হলো:
১. কোনও মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠান ইচ্ছা করলে তার মালিকানাধীন যেকোনও মোটরযানের জন্য যে সংখ্যক যাত্রী পরিবহনের জন্য নির্দিষ্টকৃত তাদের জীবন ও সম্পদের বীমা করতে পারবেন।
২. মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠান তার অধীন পরিচালিত মোটরযানের জন্য যথানিয়মে বীমা করবেন এবং মোটরযানের ক্ষতি বা নষ্ট হওয়ার বিষয়টি বীমার আওতাভুক্ত থাকিবে এবং বীমাকারীর থেকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন।
৩. মোটরযান দুর্ঘটনা ঘটলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা নষ্ট হলে ওই মোটরযানের জন্য ধারা ৫৩-এর অধীন গঠিত আর্থিক সহায়তা তহবিল হতে কোনও ক্ষতিপূরণ দাবি করা যাবে না।
অর্থাৎ, এ ধারা অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা বাধ্যতামূলক নয় এবং এ আইনের অধীনে ইহা লঙ্ঘন করা হলে কোনও দণ্ডের বিধান নেই। এই আইনে তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা না থাকলে সংশ্লিষ্ট মোটরযান বা মোটরযানের মালিকের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অনুযায়ী কোনও মামলা দেওয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সকলকে অবগত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্মারকে অনুরোধ করে বিআরটিএ।
এ বিষয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা বাধ্যতামূলক নয়। তাই ইন্স্যুরেন্স না থাকলে সড়কে মামলা করা যাবে না। এটা আমরা পুলিশকে জানিয়ে দিয়েছি।