নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আলো ছড়াচ্ছে দেশের পুঁজিবাজার। দীর্ঘ মন্দার পর বাজার জলে উঠায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। সক্রিয় হচ্ছেন নিস্ক্রীয় বিনিয়োগকারীরা। এমন বাস্তবতায় বাজারের পরিধি আরও বাড়ানোর অনুরোধ সংশ্লিষ্টদের।
তারা মনে করেন, পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা ও লেনদেন ধরে রাখতে বাজারকে আরও ছড়িয়েছে দেওয়া প্রয়োজন। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে মাত্র ২৮টি জেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শাখা রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় চারশটি শাখা রয়েছে শুধু ঢাকাতেই। এমন একটি ও দুটি করে শাখা আছে এমন জেলার সংখ্যা ১৩টি। এমন বাস্তবতায় শাখার অনুমোদন চায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে বিএসইসি থেকে বলা হচ্ছে শাখা নয়, বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যোগে ডিজিটাল আউটলেট দিতে আগ্রহী বিএসইসি। সংস্থাটির যুক্তি হলো ডিজিটাল আউটলেট সেন্ট্রার হলো এক দিকে যেমন খরচ কম হবে। অন্যদিকে বাজারও প্রসার হবে।
ডিএসই সূত্র মতে, ডিএসইর মোট সদস্য সংখ্যা ২৫০টি। এর মধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ। চালু থাকা সদস্যদের মোট ২৮টি জেলায় কার্যক্রম আছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো ৬৯১টি শাখার মাধ্যমে পুঁজিবাজারের সেবা দিয়ে আসছে।
সূত্র মতে, এর মধ্যে ঢাকায় ৩৯৮টি, চট্টগ্রামে ৭৩টি, সিলেট ৩৯, নারায়েনগঞ্জে ১৫টি, খুলনা ১৪, কমিল্লা, রাজশাহী, রংপুরে নয়টি শাখা রয়েছে। এরপর মৌলভীবাজারে ৭টি, নোয়াখালী ও বগুরায় ৬টি করে শাখা আছে। ৫টি করে শাখা রয়েছে বরিশাল, ফেনী ও নরসিংদীতে। ময়মনসিংহে রয়েছে ৪টি শাখা।
কিশোরগঞ্জ ২, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২, কক্সবাজার ২, গাজীপুর ২, যশোর ২, কুস্টিয়া ২ এবং হবিগঞ্জ, জামালপুর, নওগা, পাবনা, সিরাজগঞ্জ , টাঙ্গাইল ও ফরিদপুরে একটি করে শাখা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম সানবিডিকে বলেন, দীর্ঘ দিন নতুন শাখা অনুমোদন বন্ধ রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ এ বিষযে কমিশনকে বলেনি। তবে আমরা শাখা নয়;ডিজিটাল আউটলেট দিতে চাই।
তিনি বলেন, এতে করে ব্রোকারদের খরচ কমবে। পুঁজিবাজারও প্রসারিত হবে। বাজারের লেনদেনও বাড়বে।