বাবা-মা মত না দিলে অনূর্ধ্ব ১৬ ছেলে মেয়েদের জন্য ফেসবুক, স্ন্যাপচ্যাট বা ইন্টারনেটের অন্য যে কোনো সামাজিক যোগাযোগ সাইটে ঢোকা নিষিদ্ধ হতে পারে ইউরোপে। এ নিয়ে এ সপ্তাহেই ইউরোপীয় সংসদে একটি আইন পাশ হতে পারে। খবর বিবিসির।
বর্তমানে ১৩ বছর হলেই যে কেউ ফেসবুকসহ অন্য যে কোন যোগাযোগ সাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে নিজের সম্পর্কে যে কোন তথ্য দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের সরকারগুলোরও এতে অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু ইউরোপীয় সংসদের নাগরিক স্বাধীনতা এবং স্বরাষ্ট্র বিষয়ক বিশেষ কমিটি বয়সের সীমা বাড়ানোর বিষয়টি গভীরভাবে বিবেচনা করছে। তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষায় ইউরোপে যে আইন রয়েছে, তাতে একটি সংশোধনী প্রস্তাব করেছে এই কমিটি।
সংশোধনীতে বলা হয়েছে, বাবা-মার অনুমোদন ছাড়া ১৬ বছরের কম বয়সীদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রসেসিং বেআইনি বলে গণ্য করা হবে। এ প্রস্তাব নিয়ে ইউরোপীয় সংসদে মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক বিতর্ক শুরু হচ্ছে। বিতর্ক শেষে ভোট হবে বৃহস্পতিবার। প্রস্তাব পাশ হলেই তা আইনে পরিণত হবে।
ইউরোপীয় সংসদের এই উদ্যোগের যথার্থতা নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে ইন্টারনেট-ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করেন এমন একাধিক বিশেষজ্ঞও সাবধান করেছেন স্বেচ্ছা অনুমোদনের বয়স বাড়িয়ে দিলে শিশুদের জন্য হুমকি বরঞ্চ আরো বাড়বে।
বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ সংসদীয় ওই কমিটিকে লেখা একটি চিঠিতে বলেছেন, বয়সের বিধিনিষেধ শক্ত করলে শিশুরা নানাভাবে শিক্ষা এবং সামাজিক সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। কিন্তু তার বদলে তাদের নিরাপত্তা তো বাড়বেই না, বরং কমবে। তারা বলছেন, শিশুদের মধ্যে বয়স নিয়ে মিথ্যে বলার প্রবণতাও বাড়বে।