সিজোফ্রেনিয়া এক ধরনের জটিল মানসিক সমস্যা। যা মানুষের চিন্তা, অনুভূতি, কার্যক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্তরা বাস্তব ও কল্পনার পার্থক্য বুঝতে সমস্যা হয়। পুরো বিশ্বের প্রায় এক শতাংশ মানুষ এই রোগে ভুগছে।
তবে আশার কথা হলো, সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক দেখেছেন, উচ্চ চর্বিযুক্ত কিন্তু কম শর্করাযুক্ত ডায়েট সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
সিজোফ্রেনিয়া থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়ার জন্য এখনও কোনো কার্যকরী ওষুধ তৈরি হয়নি। এই রোগের কারণে চলাফেরায় সমস্যা, ওজন বৃদ্ধি এবং কার্ডিওভ্যাসকুলার রোগ হতে পারে।
গবেষকরা ইঁদুরের ওপর একটি গবেষণা চালান। ইঁদুরদের কিটোজেনিক ডায়েট (চর্বি ৬৫%, প্রোটিন ৩০%, ৫% শর্করা) দেয়া হয়। তাতে দেখা যায়, খুব অল্প সংখ্যক প্রাণির মধ্যে সিজোফ্রেনিয়ার সাদৃশ্য পাওয়া যায়।
শিশুদের মৃগি রোগ নিয়ন্ত্রণে ১৯২০ সাল থেকে কিটজেনিক ডায়েট দেয়া হতো। সম্প্রতি ওজন কমানোর জন্য ব্যায়ামবিদরা এই ডায়েট অনুসরণ করেন।
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের জেমস কুক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষক জোলটান সার্নাই বলেন, এই ধরনের ডায়েট বিকল্প শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। যা মস্তিষ্কের সিজোফ্রেনিক কোষগুলোর শক্তির পথকে এলোমেলো করে দেয়।
জোলটান সার্নাই আরও বলেন, বেশিরভাগ লোকের শক্তি আসে চর্বি থেকে। তাই ডায়েটে মাখন, পনির, স্যামন (সামুদ্রিক মাছ) ইত্যাদি থাকা উচিত।
গবেষণায় আরও বলা হয়, কিটোজেনিক ডায়েট ওজন ও রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ