কলকাতার বস্তিবাসী ও অতিগরিব মানুষদের কল্যাণে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মাদার তেরেসা সেইন্ট মর্যাদায় উন্নীত হতে চলেছেন। আগামী বছর সেপ্টেম্বরে তাঁকে এ মর্যাদা দেয়া হতে পারে।
মাদার তেরেসোর সেন্টহুড পাওয়ার পথে শেষ বাধাটিও অতিক্রান্ত হয়েছে উল্লেখ করে ভ্যাটিকান জানিয়েছে, সেন্টহুড পাওয়ার জন্য যে দ্বিতীয় অলৌকিক ঘটনাটির দরকার ছিল, তা এখন সত্য বলে তারা প্রমাণ পেয়েছেন। পোপ ফ্রান্সিস দ্বিতীয় ঘটনাটির অলৌকিকত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে ভ্যাটিকান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কলকাতার মাদার হাউসে এ খবর জানিয়ে দেয়া হয়েছে। মাদার তেরেসা প্রতিষ্ঠিত মিশনারিজ অব চ্যারিটির পক্ষে সিস্টার ক্রিস্টি এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
কলকাতার আর্চবিশপ টমাস ডি’সুজা বলেন, ব্রাজিলের এক ব্যক্তি, যাঁর মাথায় একাধিক টিউমার হয়েছিল, ২০০৮ সালে তিনি অলৌকিকভাবে সেরে ওঠেন, আর তাঁর এই সেরে ওঠাকে মাদার তেরেসার আশীর্বাদ বলেই নিশ্চিত হয়েছে ভ্যাটিকান।
তিন দিন আগে বিশেষজ্ঞদের একটি দল কজেস অব দা সেন্টস-এর বৈঠক বসে ভ্যাটিকানে। তাঁরা ওই অতি আশ্চর্য ঘটনাটিকে বিশ্লেষণের পরে পোপ ফ্রান্সিসের কাছে মাদার তেরেসাকে সেন্টহুড দেয়ার সুপারিশ করেন।
এর আগে ২০০২ সালে ভ্যাটিকান মাদার তেরেসার আশীর্বাদের ফলে ১৯৯৮ সালে মনিকা বেসরা নামের এক নারীর পেটের ক্যানসার সেরে গেছে বলে মেনে নিয়েছিল। সেন্টহুড পেতে গেলে অন্তত দুটি অলৌকিক ঘটনার প্রমাণ পেতে হয়।
মাদার তেরেসার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সুনীতা কুমার বলেন, ‘সেন্টহুড পেতে বহু বছর এমনকি কয়েক শতকও পার হয়ে যায়। কিন্তু মাদার তেরেসা এমনই এক মহাপ্রাণ ব্যক্তিত্ব, যিনি মৃত্যুর মাত্র ১৮ বছরের মধ্যেই সেন্টহুড পেতে যাচ্ছেন।’
মাদার তেরেসার জন্ম ম্যাসেডোনিয়াতে। তাঁর বাবা-মা অ্যালবেনিয়ান ছিলেন।কলকাতার বস্তিবাসী এবং অতিগরিব মানুষদের সাহায্যের জন্য তিনি ১৯৫০ সালে মিশনারিজ অব চ্যারিটি প্রতিষ্ঠা করেন। মাদার তেরেসা তাঁর কাজের জন্য ১৯৭৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান।তিনি ১৯৯৭ সালে কলকাতাতে মারা যান।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ