বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে ৮২ শতাংশই শরিয়া আইনের পক্ষে। দেশের ধর্ম পালনকারী মুসলমানদের মধ্যে ৮৮ শতাংশ এমন আইন চায়। অপরদিকে ধর্ম পালনে নিয়মিত নয় এমন ৭৯ শতাংশ ব্যক্তিও শরিয়া আইনের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টারের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট এ দাবি করেছে। তবে ওই প্রতিবেদনের শেষে মন্তব্যের স্থানে বাংলাদেশি বলে পরিচয় দেওয়া অনেকে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনটি গত মঙ্গলবার প্রকাশিত হলেও যে গবেষণার বরাত দিয়ে এটি করা হয়েছে সেই পিউ রিসার্চের প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল। ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে একটি গ্রাফিকসের মাধ্যমে বিশ্বে শরিয়া আইনের পক্ষে বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের অবস্থান তুলে ধরা হয়। ওই তালিকার শীর্ষে আছে আফগানিস্তান। দেশটির ৯৯ শতাংশ মুসলমান শরিয়া আইনের পক্ষে। এর পরের দেশগুলো হলো ইরাক (৯১%), ফিলিস্তিন (৮৯), মালয়েশিয়া (৮৬), নাইজার (৮৬), পাকিস্তান (৮৪), মরক্কো (৮৩)। এর পরই সপ্তম অবস্থানে বাংলাদেশ (৮২)।
পিউ রিসার্চের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে শরিয়া আইনের পক্ষে থাকা মানুষের মধ্যে কিছু বিষয়ে সহনশীলতা দেখা যায়। এই সহনশীলতা অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশিরা এগিয়ে। শরিয়া আইনের পক্ষে থাকা বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে ৫০ শতাংশই মনে করে পরিবার পরিকল্পনা নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য। আর বাংলাদেশে মুসলমানদের ৭১ শতাংশই আত্মঘাতী বোমা হামলাকে সমর্থন করে না। আর ২৬ শতাংশ মুসলমান ক্ষেত্রবিশেষে এটি সমর্থন করে।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১-১২ সালে বাংলাদেশের দুই হাজার ১৯৬ জন মানুষের কাছ থেকে তথ্য নেওয়া হয় যাঁর মধ্যে এক হাজার ৯১৮ জনই ছিলেন মুসলমান।