সারাদেশের ১৪ জন উদ্যোক্তা ‘সফল ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সম্মাননা পদক-২০১৪’ পেয়েছেন। কর্মদক্ষতা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে নতুন ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্র তৈরি করে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করায় তাদেরকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে সফল উদ্যোক্তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শ্রেণিতে আইবিএফবির সফল ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সম্মাননা পদক পেয়েছেন বাগেরহাটের নূরজাহান এগ্রো-প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর আল আমীন।
কৃষি উপকরণ ও কৃষি প্রযুক্তি শ্রেণিতে সফল ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সম্মাননা পদক পেয়েছেন ৪ জন। তারা হলেন- সাতক্ষীরার মেসার্স রনি এগ্রো ইঞ্জিনিয়ারিং এর স্বত্ত্বাধিকারী জি এম নুর ইসলাম রনি, জয়পুরহাটের পাঁচবিবির মেসার্স আব্দুল হাকিম মণ্ডলের স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুল হাকিম মণ্ডল, যশোরের অভয়নগরের সাউথ বেঙ্গল ফার্টিলাইজার মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ফাইজুর রহমান এবং নওগাঁর নিয়ামতপুরের মের্সাস রেজাউল হাসানের স্বত্ত্বাধিকারী মো. রেজাউল হাসান।
হস্ত ও শিল্প শ্রেণিতে পদক পেয়েছেন ৩ জন উদ্যোক্তা। তারা হলেন- যশোরের রঙ হ্যান্ডিক্রাফটসের স্বত্ত্বাধিকারী তনুজা রহমান, নওগাঁর সানন্দা বুটিক হাউসের স্বত্ত্বাধিকারী লিপি সাহা এবং নওগাঁর প্রভাতি বুটিক অ্যান্ড ফ্যাশন হাউসের স্বত্ত্বাধিকারী পারভীন আকতার।
মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ শ্রেণিতে পদক পেয়েছে ৩ জন উদ্যোক্তা। তারা হলেন- খুলনার পাইকাগাছার সবুজ মৎস্য খামারের স্বত্ত্বাধিকারী মো. ফসিয়ার রহমান, যশোরের চাচড়ার মেসার্স জান্নাতনেত্রী মা ফাতিমা ফিস হ্যাচারির স্বত্ত্বাধিকারী মো. মোস্তাফা খাঁন ফিরোজ এবং সিলেটের বিশ্বনাথের ড্রিম এগ্রোর স্বত্ত্বাধিকারী বেলাল আহমদ ইমরান।
হালকা প্রকৌশল শিল্প শ্রেণিতে পদক পেয়েছে ২ জন উদ্যোক্তা। তারা হলেন- যশোরের মেসার্স রিপন মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্ত্বাধিকারী মো. আশরাফুল ইসলাম এবং রংপুরের গঙ্গাচড়ার মেরিন কেমিক্যাল কোম্পানির স্বত্ত্বাধিকারী মো. শাহেদুল ইসলাম।
এছাড়া নার্সারি উন্নয়ন শ্রেণিতে সফল ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সম্মাননা পদক পেয়েছেন সিলেটের বিশ্বনাথের বাগান বাড়ি নার্সারির স্বত্ত্বাধিকারী আকবর হোসেন কিসমত।
অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরার মেসার্স রনি এগ্রো ইঞ্জিনিয়ারিং এর স্বত্ত্বাধিকারী জি এম নুর ইসলাম রনি বলেন, নিজস্ব মেধা দিয়ে স্বযংক্রিয়ভাবে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর মেশিন তৈরি করি। পরে ২০০০ সালে সাতক্ষীরা বিসিকে স্বল্প পরিসরে কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে ব্যবসার পরিসর বৃদ্ধি পেতে থাকে। গত ৫ বছরে প্রায় ২০০ জন লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। আরও ৬০০ জনের কর্মসংস্থান তৈরি প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজকের এই পুরস্কারের মাধ্যমে আমি আমার শ্রমের স্বীকৃতি পেলাম। পাশিপাশি আজকের অনুপ্রেরণা আমার কাজের গতিকে আরও বাড়িয়ে দিবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন কে এম হাবিব উল্লাহ, আইবিএফবির সভাপতি হাফিজুর রহমান খান, আইবিএফবির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. ওমর সাফায়াত কাওসার প্রমুখ।