এক ছাত্রকে মারধর ও ৫ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ফার্মেসী বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. সুকল্যাণ কুমার কুন্ডুকে অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. তপন কুমার সাহা । প্রক্টর ও ছাত্রলীগ নেতার মধ্যে এ সঙ্ক্রান্ত কথোপকথনের অডিও ক্লিপ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে ক্যাম্পাসে ।
সোমবার অডিও ক্লিপটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
অডিওতে গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠান চলাকালে এক ছাত্রকে মারধর ও ৫ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ার ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির বিচার নিয়ে প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহার সঙ্গে ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক বশিরুল হকের কথোপকথন হয়।
১ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের এই কথোপকথনে শোনা যায়, প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বশিরকে বলছেন, ‘চেয়ারম্যানকে (ফার্মেসী বিভাগের সভাপতি) ভালোমতো ধরো। একেবারে ধরো।’
এরপর বশির ফার্মেসী বিভাগের সভাপতিকে উদ্বৃত করে প্রক্টরকে বলেন, ‘স্যার উনিতো আপনার ওপর দায়িত্ব ছাইড়া দিছে। উনি বলছে গোলাগুলি হইছে বাইরে (অনুষ্ঠান স্থল অডিটরিয়ামের বাইরে), এই দায়িত্ব আমি নিব কেন? ক্যাম্পাস প্রাশাসনের দায়িত্ব ক্যাম্পাস সেইভ রাখা।’
এর উত্তরে প্রক্টর বলেন, ‘বলো যে, ক্যাম্পাস প্রশাসনের দায়িত্ব- অনুষ্ঠান করছেন, আপনি কি তারে (প্রক্টরের) জানাইছেন? বলছেন? না প্রক্টররে দাওয়াত দিছেন?’
এরপর বশির বলেন, ‘উনিতো (ফার্মেসী বিভাগের সভাপতি) দায়িত্ব নিতে চাইছে না, উনি বলছে যে, এর সম্পূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্ব হচ্ছে আপনার।’
একথার উত্তরে প্রক্টর বলেন, ‘কিচ্ছু দায়িত্ব না, ওরে (সভাপতিকে) ধরে আটকাই থোও (রাখো) ওনে (ওখানে)। বসে থাকো। বলো যে, এর বিচার না হইলে আমরা উঠবো না।’
অডিও ক্লিপে প্রক্টরের বক্তব্যকে ‘উস্কানিমূলক’ বলে মনে করছেন বিভিন্ন মহলের শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক ড. তপন কুমার সাহা বলেন, এটা বিভাগীয় বিষয় তাই শিক্ষার্থীদেরকে সভাপতির কাছে বিচার দিতে বলা হয়েছে। এটা কোনো ধরনের ‘উস্কানিমূলক’ বক্তব্য ছিল না।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ