ওয়ালটন এলইডি টিভিতে ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি

প্রকাশ: ২০১৫-১২-২১ ২১:৫৭:৪২


6-Month TV Picসর্বোচ্চ মানের নিশ্চয়তায় এবার এলইডি (লাইট এ্যামিটিং ডায়োড) টেলিভিশনে ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। এর আগে এলইডি টিভিতে ৩ মাসের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা দিতো দেশীয় এই ব্র্যান্ড। গ্রাহকদের জন্য এই সুবিধা কার্যকর হয়েছে চলতি ডিসেম্বরের প্রথম দিন থেকে। এর পাশাপাশি দুই বছরের ওয়ারেন্টি রয়েছে ওয়ালটনের এলইডি টিভির প্যানেল, আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ ও বিক্রয়োত্তর সেবায়।

ওয়ালটন সূত্র মতে, প্রধানত তিনটি কারণে দেয়া হচ্ছে এই সুবিধা। প্রথমত, উচ্চ প্রযুক্তির ওয়ালটন টেলিভিশনের মান আরো উন্নত হয়েছে। দ্বিতীয়ত, গ্রাহকের আস্থা ও সন্তুষ্টি বৃদ্ধি। তৃতীয়ত, নিজস্ব কারখানায় কঠোর মান নিয়ন্ত্রণের ফলে রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা বাড়ানো সহজতর হয়েছে।

কর্তৃপক্ষের দাবি, হাতের নাগালে আইএসও স্ট্যান্ডার্ড বিক্রয়োত্তর সেবা এবং সর্বোপরি দামে সাশ্রয়ী বলে বাংলাদেশে ওয়ালটন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। দেশের টেলিভিশন মার্কেটে শীর্ষস্থানে রয়েছে ওয়ালটন। টেলিভিশন বিপণন বিভাগের প্রধান এবং ওয়ালটনের সহকারি পরিচালক মোঃ আব্দুল বারী বলেন, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত মেশিনারিজ এবং দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে সর্বোচ্চমানের চ্যালেঞ্জ নিয়ে এলইডি টেলিভিশন প্রস্তুত করায় গ্রাহক চাহিদার শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন ব্র্যান্ড। উচ্চমানের পাশাপাশি দামে সাশ্রয়ী হওয়ায় ইতোমধ্যে গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন তারা।
গ্রাহক সন্তুষ্টি আরো বৃদ্ধির জন্য রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি। রিপ্লেসমেন্ট সুবিধাটি পেতে তিনি গ্রাহকদের ওয়ারেন্টি কার্ড এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যথাযথভাবে সংরক্ষণের পরামর্শ দেন।

কর্তৃপক্ষ জানায়, বিনোদন পিপাসুদের জন্য মেইড ইন বাংলাদেশ খ্যাত ওয়ালটন ব্র্যান্ড বাজারে নিয়ে আসছে নতুন নতুন মডেলের টিভি। স্বল্প আয়ের ক্রেতাদের কথা বিবেচনা করে সিআরটি টিভির দামে ওয়ালটন দিচ্ছে এলইডি টিভি। কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় দিন দিন কমে আসছে উৎপাদন খরচও।

জানা গেছে, অত্যাধুনিক ও অটোমেটিক প্রডাকশন লাইনে তৈরি হচ্ছে ওয়ালটনের এলইডি টেলিভিশন। প্লাস্টিক কেবিনেট, স্পীকার, রিমোট কন্ট্রোল ইউনিট, মাদার বোর্ড, ইলেকট্রিক ক্যাবল এবং প্যানেল প্রডাকশনের জন্য পৃথক ম্যানুফাকচারিং লাইন স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে এলইডি টিভি উৎপাদনে বাংলাদেশ যেমন স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করছে; তেমনি নিজস্ব তত্ত্বাবধানে মান নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া নিজস্ব কারখানায় মৌলিক কাঁচামাল থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সকল যন্ত্রাংশ তৈরি করায় উৎপাদন খরচ কমে এসেছে বহুলাংশে। যার সুফল ভোগ করছেন ক্রেতারা।

ওয়ালটন সোর্সিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারি পরিচালক প্রকৌশলী ইসহাক রনি বলেন, এ ধরনের প্রযুক্তি পণ্যে মান নিয়ন্ত্রন একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। একারণে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের এলইডিটিভির মান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে কঠোরভাবে। এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্সের পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে পণ্যের গুণগতমান ও গ্রাহকদের ক্রয় ক্ষমতার কথা বিবেচনা করে ওয়ালটন বাজারে এনেছে এইচডি, এইচডি রেডি ও এফএইচডি রেজ্যুলেশনের বিভিন্ন সাইজের এলইডি টিভি।
ওয়ালটন এলইডি টিভিতে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে এইচএডিএস (হাই এ্যাডভান্স সুপার ডাইমেনশন সুইচ) এবং আইপিএস (ইন প্ল্যান সুইচিং) প্রযুক্তির প্যানেল। এর ফলে দর্শকরা লার্জ ভিউয়িং এ্যাঙ্গেল এবং হাই কন্ট্রাস্ট পিকচার পাবেন। এটি অধিক বিদ্যুত সাশ্রয়ী। ছবি ও শব্দের গুণগতমান নিশ্চিতকরনে ডাইনামিক নয়েজ রিডাকশন, মোশন পিকচার, সর্বোচ্চ ফ্রেম রেট, ডলবি ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম সমৃদ্ধ নিজস্ব ডিজাইনের উন্নত প্রযুক্তির মাদারবোর্ড ব্যবহার করা হচ্ছে।
এছাড়া বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ওয়ালটনের ৩২ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি। যাতে টেলিভিশনের সকল সুবিধার পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্রাউজিং, মোবাইল শেয়ারিং, ওয়াইফাই কানেকটিভিটিসহ কম্পিউটারের সকল সেবা পাওয়া যায়। নতুন প্রজন্মের ক্রেতাদের আকর্ষণের ব্যাপার হয়ে উঠেছে এই স্মার্ট টিভি।

উল্লেখ্য, সাইজ ও কালার ভেরিয়েশন ও দেশব্যাপী সার্ভিসিং নেটওয়ার্ক থাকায় ক্রেতা পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন। বাংলাদেশে একমাত্র ওয়ালটনেরই রয়েছে আইএসও সনদ প্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। গ্রাহক সেবা দিতে সারা দেশে কাজ করছেন প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানসহ ১৫শ’রও বেশি দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মী।

ওয়ালটনের রয়েছে শক্তিশালী গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ। যেখানে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে থিম ডেভলপমেন্ট, প্রোডাক্ট ডিজাইন, মোল্ড ডিজাইন এবং মোল্ড তৈরির কাজ করা হচ্ছে। এছাড়াও দক্ষ প্রকৌশলীদের চেষ্টায় সম্ভব হচ্ছে এলইডি টিভির মাদারবোর্ড এর পিসিবি ডিজাইন ও ড্রইং। যার ফলে ক্রেতাদের রুচি ও চাহিদা অনুযায়ী নিত্য নতুন প্রযুক্তি, বিভিন্ন কালার ও ডিজাইনের ওয়ালটন এলইডি টিভি বাজারে সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে।
#