আমরা অনেকেই রোগে আক্রান্ত হলেও চিকিৎসকের কাছে যেতে ভয় পাই বা অলসতা করি। আর চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরও নিয়মিত যোগাযোগ রাখি না। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কাইজার পার্মানেন্টের একদল গবেষক বলেছেন, চিকিৎসকদের সঙ্গে ই-মেইলে বা অন্য কোনো উপায়ে নিয়মিত যোগাযোগ রাখলে সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটে।
কাইজার পার্মানেন্টের গবেষণা বিভাগের বিজ্ঞানী এবং গবেষণার প্রধান লেখক মেরি ই. রিড বলেন, রোগীদের মধ্যে একটা বৃহৎ অংশ স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে চিকিৎসকদের সাথে ই-মেইলে যোগাযোগ করেন।
গবেষকরা উত্তর ক্যালিফোর্নিয়াতে কাইজার পার্মানেন্টের এক হাজার ৪১ জন রোগীর ওপর গবেষণা চালান। এসব রোগী অ্যাজমা, হৃদপিণ্ডের ধমনীর রোগ, কনেজেসটিভ হার্ট ফেইলর, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগছেন।
গবেষণায় দেখা যায়, যেসব রোগীরা চিকিৎসকদের সাথে ই-মেইলে যোগাযোগ রেখেছেন তাদের মধ্যে ৩২ শতাংশের স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটেছে। আর যারা যোগাযোগ করেননি তাদের মধ্যে ৬৭ শতাংশের সার্বিক স্বাস্থ্যের কোনো উন্নয়ন ঘটেনি। রোগীদের মধ্যে মাত্র এক শতাংশ বলেছেন, চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে।
ই-মেইল ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ রোগী যারা চিকিৎসা বাবদ বেশি পরিমাণে টাকা খরচ করেছেন তারা চিকিৎসকদের সাথে যোগাযোগের প্রথম মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন ই-মেইল।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ