প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে বিজিবি এয়ার উইংয়ের আত্মপ্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২০-১১-০৮ ১২:১১:৫১


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এয়ার উইংয়ের আত্মপ্রকাশ ঘটলো। রোববার (৮ নভেম্বর) সকাল সোয়া ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজিবি এয়ার উইংয়ের জন্য ক্রয়কৃত হেলিকক্টার কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী বিজিবি হেলিকপ্টার দুটি ব্যবহার করবেন। দেশের সকল সীমান্ত পথে সকল প্রকার মাদকদ্রব্যের অনুপ্রবেশ বন্ধে হেলিকপ্টার দুটি ব্যবহৃত হবে, যা বিজিবির অপারেশন ও লজিস্টিক সাপোর্টের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চাশের দশকে বিজিবি (তৎকালীন ইপিআর) সদস্যদের ব্যবহারের নিমিত্তে ইতালি থেকে একটি পিয়াজ্জিও পি-১৩৬ উভচর বিমান ক্রয় করা হয়। বিমানটি সর্বশেষ ১৯৬৮ সালে আকাশে উড়ে। দীর্ঘদিন বিকল অবস্থায় পড়ে থাকার পরে ১৯৭৮ সালে এটিকে তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় স্থানান্তর করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের পর বিজিবির (তৎকালীন বিডিআর) বিভিন্ন জরুরি কাজে ব্যবহারের নিমিত্তে ১৯৮১ সালে একটি বেল ২১২ হেলিকপ্টার ক্রয় করা হয়। বর্তমানে হেলিকপ্টারটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনী দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।

একটি পরিপূর্ণ ত্রিমাত্রিক আধুনিক বর্ডার গার্ড গঠনের নিমিত্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞাময় দিক নির্দেশনায় ২০১৬ সালে বিজিবি এয়ার উইং তৈরি করা হয়। ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর দুইটি এমআই-১৭১ই হেলিকপ্টার ক্রয়ের জন্য রাশিয়ান হেলিকপ্টার এর সঙ্গে বিজিবির চুক্তি সম্পাদিত হয় এবং চলতি বছরের গত ১৮ ও ২৩ জানুয়ারি হেলিকপ্টার দুটি বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়।

বিজিবির দুইজন বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ এবং ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ -এর নামে হেলিকপ্টার দুটির নামকরণ করা হয়। রাশিয়া হতে আগত উড্ডয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে বিজিবির প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণের পর গত ৪ মে হতে হেলিকপ্টার দুইটি অপারেশনাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

সক্ষমতার দিক দিয়ে এম আই-১৭১ই হেলিকপ্টারের সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ২৫০ কিলোমিটার। এটি সর্বোচ্চ ছয় হাজার মিটার উচ্চতায় উড্ডয়ন করতে পারে। একসাথে মোট ২৬ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারে। সর্বোচ্চ পরিবহন ক্ষমতা ৩০০০ কেজি, রোগী পরিবহণ ক্ষমতা ১২ জন। অত্যাধুনিক অটো পাইলট সিস্টেমে পরিচালিত সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই হেলিকপ্টারটি।

এছাড়া আর্মাড পারসোন্যাল ক্যারিয়ার (এপিসি) ও রায়ট কন্ট্রোল ভেহিক্যালের (আরসিভি) সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ১৪০ কিলোমিটার, যাত্রী পরিবহন করতে পারে ১২ জন, জ্বালানি ট্যাংক ২৫৭ লিটার, রয়েছে ব্যালাস্টিক প্রোটেকশন, ব্লাস্ট প্রোটেকশন। গ্রেডিয়েন্ট ৬০ শতাংশ, ফোর হুইল ড্রাইভ। এছাড়া রয়েছে নাইট ভিশন হাই স্পীড ক্যামেরা।

সানবিডি/নাজমুল/১২:১০/০৮/১১/২০২০