ঢাবির চ-ইউনিটের পরীক্ষা বিশেষ ব্যবস্থায়: ঢাবি ভিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২০-১১-১১ ১৭:২২:৪৫


ডিনস কমিটির সভায় চ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত অথবা প্রস্তাবনা নেয়া হয়নি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, বরং সভার রেজুলেশনে চ-ইউনিট তথা চারুকলা অনুষদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে।

বুধবার (১১ নভেম্বর) উপাচার্যের সঙ্গে তার কার্যালয়ে এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশেন, বাংলাদেশ (ইরাব) এর ২০২০-২১ সেশনের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় ইরাবের নতুন কমিটিতে সভাপতি দৈনিক সমকালের বিশেষ প্রতিনিধি সাব্বির নেওয়াজ ও সাধারণ সম্পাদক দৈনিক কালের কণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার শরীফুল আলম সুমনসহ নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ এবং শিক্ষাবিটের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষা থেকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ‘ঘ’ ইউনিট এবং চারুকলা অনুষদের ‘চ’ ইউনিট উঠিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এর জবাবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, এর সুফল পাবে শিক্ষার্থীরা।

অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেছিলেন, ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত পর্যালোচনার মধ্যে এ বিষয়টি ছিল। ইউনিট কমানোর আলোচনা ২০১৮ সাল থেকে চলছে। কলা অনুষদ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার ধরন প্রায় একই। ডিনরা একই ধরনের প্রশ্নে দুটি পরীক্ষায় দ্বিমত দিয়েছেন। মূলত সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের হয়রানি কমাতে পরীক্ষা কমানোর দিকে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ইউনিটে ভর্তির জন্য আলাদা আলাদা কোচিং করতে হয়। পরীক্ষার জন্য বারবার রাজধানীতে আসতে হয়। এতে শিক্ষার্থীর পাশাপাশি অভিভাবকরাও হয়রানির শিকার হন। এর জন্য পরীক্ষা কমানোর পাশাপাশি বিভাগীয় পর্যায়ে পরীক্ষা নেওয়ারও ব্যবস্থা করছি।

আমরা চাই শিক্ষার্থীদের টেক্সভিত্তিক পরীক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে। এবং পরীক্ষা কমিয়ে আনতে। এছাড়া চ-ইউনিট একটি বিশেষায়িত ইউনিট। সেটার জন্য অবশ্যই পৃথক পরীক্ষা রাখতে হবে। এটি বাতিলের প্রশ্নই আসে না।

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ‘ঘ’ ইউনিটের এবং চারুকলা অনুষদের ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বিলুপ্ত করার প্রথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ- এমন খবর প্রকাশ পায়। এ দুই ইউনিটের পরীক্ষা ‘খ’ ইউনিটের মাধ্যমে নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে ডিনস সভায় চ-ইউনিট বাতিলের বিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি বলে জানান উপাচার্য।

আলোচনাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন উপাচার্য। এসময় ইরাবের নেতারাও বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতির প্রশংসা করেন।