বিশ্বজুড়ে আঘাত হানা মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভা্বে চলতি বছরের গত ১০ মাসে প্রায় তিন লাখ প্রবাসী কর্মী দেশে ফিরেছেন। এদের কারও কারও বিদেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও এদের একটা বড় অংশ দেশে কর্মহীন হয়ে চরম অর্থ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। যোগ্যতা অনুযায়ী এসব প্রবাসী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।
এ ব্যাপারে সূত্র অনুযায়ী, মহামারির কারণে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করেছে। যার বিরূপ প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের শ্রমবাজারে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবস্থিত প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, সাধারণ সময়ের তুলনায় চলতি বছরের ১০ মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত অভিবাসী কর্মীদের দেশে ফেরার হার প্রায় ছয়গুণ বেশি। করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর গত ১ এপ্রিল থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত প্রবাসী কর্মী দেশে ফিরে এসেছেন ২ লাখ ৭২ হাজার ১৮৭ জন। এদের মধ্যে আউটপাস নিয়ে এসেছে ৩৬ হাজার ৭৮১ জন। আর পাসপোর্টধারী কর্মীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৫ হাজার ৪০৪ জন। আর এদের মধ্যে ৩১ হাজার ৩৩ জনই রয়েছেন নারী। এ বিশাল সংখ্যক ফিরে আসার বিপরীতে বিদেশ যেতে পেরেছেন মাত্র ১ লাখ ৮০ হাজার জন।
সূত্র অনুযায়ী, এ পর্যন্ত যে সংখ্যক কর্মী দেশে ফিরেছেন তাদের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ফেরার সংখ্যা বেশি। এরমধ্যে সৌদি আরব এসেছে সবচেয়ে বেশি কর্মী। এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সাত মাসে সৌদি আরব থেকে ফেরত এসেছে ৭৬ হাজার ৯২২ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এসেছেন ৭১ হাজার ৯০৩ জন, কাতার থেকে ২৯ হাজার ৬৫৫ জন, ওমান থেকে ১৬ হাজার ৯৫ জন এবং মালদ্বীপ থেকে ১৩ হাজার ২৪৪ জন, মালয়েশিয়া থেকে ১২ হাজার ৩৬৮ জন, কুয়েত থেকে ১১ হাজার ৯১২ জন, তুরস্ক থেকে ১০ হাজার ৪৫১ জন, ইরাক থেকে ১০ হাজার ১৬৯ জন, লেবানন থেকে ৭ হাজার ১৬৯ জন, সিঙ্গাপুর থেকে ৫ হাজার ৩১১ জন, জর্ডান থেকে ২২০৪ জন, বাহারাইন থেকে ২০২৩ জন, শ্রীলংকা থেকে ৫৫৪ জন, লিবিয়া থেকে ৪৫৫ জন, মরিশাস থেকে ৪৫২ জন, ইতালি থেকে ১৫১ জন, ভিয়েতনাম থেকে ১২১ জন, দক্ষিন কোরিয়া থেকে ২২০ জন, লন্ডন থেকে ১৩৪ জন, কম্বোডিয়া থেকে ১০৬ জন, রাশিয়া থেকে ১০০ জন, থাইল্যান্ড থেকে ৮৯ জন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৭১ জন, নেপাল থেকে ৫৫ জন, মিয়ানমার থেকে ৩৯ জন, হংকং থেকে ১৬ জন, জাপান থেকে ৮ জনসহ অন্যান্য দেশ থেকে আরো ১৪৬ জন ফিরে এসেছেন।
সানবিডি/এনজে/৬:১৫/১১.১৩.২০২০