প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত পর্যটন বর্ষ ২০১৬ সালকে সামনে রেখে সমুদ্র সৈকতে ৩১ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারী পর্যন্ত তিন দিনের এই মেগা বীচ কার্নিভাল অনুষ্টিত হবে। পালিত হবে ‘পর্যটনের কক্সবাজার’ ৬০ বছর পূর্তি । পর্যটন মন্ত্রনালয়, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বীচ ম্যাজেম্যান্ট কমিটি যৌথভাবে আয়োজন করছে এই কার্নিভালের। ২৩ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ১১টায় ‘মেগা বীচ কার্ণিভ্যাল ডেস্টিনেশন-২০১৫ সফল ভাবে আয়োজন করার লক্ষ্যে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্টিত হয়।
জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে কক্সবাজারের উপ সচিব আবুল ফয়েজ মোহাম্মদ আলা উদ্দিন খান, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন , কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি একে আহমদ হোসেন, বীচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটির সদস্য এড. সিরাজুল মোস্তফা, জেলা জাসদ সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী, রেজাউল করিম, সাংবাদিক জাহেদ সরওয়ার সোহেল, মোহাম্মদ আলী জিন্নাত, লুৎফুন নাহার বাপ্পি, মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ডার মোঃ শাহজাহান, মোঃ কাশেম আলী প্রমূখ।
এছাড়া আগামী ১ জানুয়ারী কক্সবাজার পর্যটন কেন্দ্র চালুর পাঁচ যুগ পুর্তি হচ্ছে। ১৯৫৬ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের শিল্পমন্ত্রী থাকাকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কক্সবাজারকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে চালু করেছিলেন। ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারী তার ৬০ বছর পুর্তিতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান মালার মধ্য দিয়ে ৬০ বছর পুর্তি পালন করবে কক্সবাজার জেলাবাসি। হাতে আকা জাতির জনকের একটি বিশাল প্রতিকৃতি বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে স্থান পাবে বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক জাহেদ সরওয়ার সোহেল। আর এটি অঙ্কন করেছে চারু শিল্পী কক্সবাজার রামুর কৃতিসন্তান তানভীর সরওয়ার রানা।
আগামী ৩১ ডিসেম্বর-২০১৫ এবং ১ ও ২ জানুয়ারী-২০১৬ তিনদিন ব্যাপী ‘মেগা বীচ কার্ণিভ্যাল ডেস্টিনেশন-২০১৫ সফল ভাবে আয়োজন করার লক্ষ্যে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বুধবার সকালে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমুলক সভায় এ কথা জানানো হয়।
কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেল ওই সভায় ৬০ বছর পুর্তি পালনের কথা উপস্থাপন করলে উপস্থিত সকলে সম্মতি জ্ঞাপন করেন। বীচ কার্ণিভাল সফল করার লক্ষ্যে সভায় একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সভায় জানানো হয়, বীচ কার্নিভালকে সফল করার লক্ষ্যে কক্সবাজারকে সাজানো হবে অপরূপ সাজে। শহরের রাস্তার পার্শ্বের ভবন ও দেয়ালগুলো রাঙ্গানো হবে একই রঙ্গে। সে সাথে থাকবে ব্যানার ফেস্টুন ও তোরণ। পুরো শহরকে সজ্জিত করা হবে আলোক সজ্জায়, থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ৬৯টি ইভেন্ট। চলবে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা। এই বীচ কার্ণিবাল আয়োজনের মধ্য দিয়ে কক্সবাজারের কথা বিশ্ববাসিকে জানান দেয়া হবে। সভায় সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের আকাশ আলোকিত করে আতশবাজি আর কাউন্ট ডাউন ঘড়ি উন্মোচনের মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছে মেগা বীচ কার্নিভালের ক্ষন গননা অনুষ্টান।
সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে ক্ষন গননা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে কক্সবাজারের উপ সচিব আবুল ফয়েজ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন খান। এদিনই কক্সবাজার তিন স্থানে ক্ষণ গননা ঘড়ি স্থাপন করা হয়েছে। বীচ কার্নিভালের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজম্যন্ট কোম্পানী গ্রে এডভার্টাইজিং বাংলাদেশ লিমিটেড।
এদিকে, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২ দিনের সফরে আগামী ৩০ ডিসেম্বর কক্সবাজার আসছেন। ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় হেলিকপ্টার যোগে কক্সবাজার পৌঁছে মাতারবাড়ি তাপ বিদ্যুৎ’ কেন্দ্র পরিদর্শন এবং ৩১ ডিসেম্বর ১১ টায় ৩ দিনব্যাপি মেগা বীচ কার্ণিভাল কক্সবাজার-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান শেষে ১ জানুয়ারী কক্সবাজার ত্যাগ করবেন। অর্থমন্ত্রীর একান্ত সচিব এস,এম, জাকারিয়া হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ