শীতকাল মানেই শুষ্ক চুলের সমস্যা। এ দিকে ঠান্ডায় নিয়মিত শ্যাম্পুর কথা ভাবলেই গায়ে জ্বর আসে। পার্টি, পিকনিকের জেরে মাথায় নোংরাও জমে। জেনে নিন শীতে এক সপ্তাহ শ্যাম্পু না করেও ঝলমলে চুল পাবেন যেভাবে-

ভাল করে ধুয়ে নিন- সব সময় মাথায় ধুলা বসে বা চুল তেলতেলে হয়েই নোংরা হয় না। শ্যাম্পু করে ভাল করে চুল না ধুলেও মাথায় ময়লা জমে। তাই যখনই শ্যাম্পু করবেন চুল খুব ভাল করে ধুয়ে নিন। যাতে একটুও শ্যাম্পু থেকে না যায়।

চুলের ডগা কন্ডিশন করুন- চুলের গোড়া সবচেয়ে বেশি তেলতেল হয়ে যায়। এ দিকে ডগা ক্রমশ শুকিয়ে যায়। তাই শ্যাম্পু করতে না পারলে ডগায় কন্ডিশনার লাগান। এতে চুল শুষ্ক হয়ে যাবে না। কিন্তু চুল পরিষ্কার রাখতে হলে গোড়ায় কন্ডিশনার লাগাবেন না।

তেল- ফ্রিজি চুল বশে আনতে অনেকেই শীতকালে তেল লাগান। কিন্তু চুলের গোড়ায় তেল বসে আরও বেশি ময়লা হবে। তাই উড়ো চুল সামলাতে স্টাইলিং ক্রিম লাগিয়ে নিন।

হাত দেবেন না- এটা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। যতো পারবেন চুলে হাত কম দিন। এতে হাতের ময়লা যেমন চুলে লাগবে না, তেমনই চুলের নোংরাও অন্য জায়গায় ছড়াবে না।

টেক্সচারিং স্প্রে- চুল নোংরা, শুষ্ক হয়ে গেলে কোনও স্টাইলই ঠিক মতো সেট হয়ে থাকে না। বার বার হাত দিয়ে ঠিক করতে হয়। কিন্তু আগেই বলা হল হাত দেবেন না। তার বদলে কোনও টেক্সচারিং স্প্রে দিয়ে চুল সেট রাখুন।

বেঁধে রাখুন- নোংরা চুল যত খোলা রাখবেন ময়লা তত বেশি হবে। অস্বস্তিও হবে। তাই যতটা সম্ভব চুল পিছনে টেনে বেঁধে রাখার চেষ্টা করুন।

কপালে চুল পড়তে দেবেন না- শীত কালে যেহেতু আমরা দৌড়দৌড়ি বেশি করি, পিকনিকে যাই তাই কিছুটা হলেও চুল ঘামে। কপালে চুল পড়লে তাই ঘামে ভিজে চুল চটচটে হয়ে যায়। আবার চুলের নোংরায় কপালে অ্যাকনেও হতে পারে। তাই চুল না বাঁধলেও সামনের চুল অন্তত উল্টে ক্লিপ লাগিয়ে রাখুন।

সানগ্লাস- শীত কালে প্রায় সবাই সানগ্লাস ব্যবহার করে। এই সানগ্লাস নোংরা চুল বশে রাখতে কাজে আসতে পারে। সানগ্লাস হেয়ারব্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করুন। এতে শুষ্ক চুল বশে থাকবে, মুখেও চুল পড়বে না।

ব্রাশ- যত বেশি পারেন চুল আঁচড়ান। এতে চুলের গোড়া থেকে তেল সারা চুলে ছড়িয়ে যাবে। শুষ্ক চুলের সমস্যা দূর হবে। পেতে থাকা চুল কিছুটা ওয়েভি হবে।

স্টাইল- শীত কালে হ্যাট বা স্কার্ফ দিয়ে দারুণ স্টাইল করা যায়। চুলের অবস্থা খারাপ থাকলে তাই ফ্যাশনেবল হ্যাট, স্কার্ফ বা ব্যান্ডানা পরে নিন।