বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও মৃত্যুর দিন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা যায়, যারা বিদেশি হত্যায় মদদ যুগিয়েছে, তারা বড়দিনে নাশকতা করতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে। তাই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের তিন শিফটে ভাগ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে চেকপয়েন্ট বসিয়েছে র্যাব।
ডিএমপির উপ-কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, ‘রাজধানীতে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। এছাড়াও যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে টহল দিবে পুলিশ। মাসের শেষ পর্যন্ত পুলিশ বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, গির্জা ও যেখানে বড়দিনের প্রার্থনা এবং অনুষ্ঠান হবে সেখানে পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি গোয়েন্দাদের নজরদারি রয়েছে।
শুক্রবার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। এদিন রাজধানীসহ দেশের সব গির্জায় চলছে ধর্মীয় নানা আয়োজন। এ সকল স্থানে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সমাগম হচ্ছে।
একইদিন মুসলমানরাও হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও ওফাতের দিন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত করছে। মসজিদ মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এ দিন জশনে জুলুছের মিছিলসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
এজন্য একইদিন দুই ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য আগে থেকেই সতর্ক রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের উপ-পরিচালক মেজর রুম্মান মাহমুদ জানান, ‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও বড়দিনে মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সে জন্য র্যাব সদস্যদের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ছাড়াও র্যাবের বোম্ব ও ডগ স্কোয়াডের সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দায়িত্ব পালন করছেন।’