আইপিও সাধারণ মানুষকে বিনিয়োগের আগ্রহী করে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে ক্যাপিটাল মার্কেটে আইপিও একটি বেশি উচ্চারিত শব্দ। সবাই বেশি আগ্রহী হয় আইপিওতে অংশগ্রহণের জন্যে। সর্বশেষ আইপিও তে সাড়ে ১২ লক্ষ বিও অ্যাকাউন্ট থেকে আবেদন করেছে। আইপিও সাধারণ মানুষকে বিনিয়োগের আগ্রহ বাড়ায়। আর এই আগ্রহ দেশের শিল্প কারখানায় বড় ভূমিকা রাখে।
সোমাবার (৩০ নভেম্বর) ‘আইপিওর সাবক্রিপশন নিয়ে গণশুনানি’ অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি গণশুনানির উদ্বোধনও করেন।
শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের দেশে পুঁজিবাজারে যে পরিমান অংশ গ্রহণ রয়েছে তা জিডিপির রেশিয় হিসেবে অনেক কম। বর্তমান কমিশন এই রেশিয়টিকে বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আইপিওতে আবেদন করার জন্য সহজ প্রক্রিয়া, আবেদনের খরচ যাতে কমে আসে এবং আইপিও'র জন্য আইন কানুনের কিছু সংশোধনী নিয়ে কাজ করছে বর্তমান কমিশন।
তিনি আরও বলেন, প্রাইজিং মেকানিজম যেন আরো ইনপ্রুভ হয় এবং বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কিভাবে কাজ করলে বিডারদের সুবিধা হয় তা নিয়েও কমিশন কাজ করছে। আইপিও আবেদন ডিজিটালাইজ করার চেষ্টা রয়েছে। ডিজিটালট্রেকের মাধ্যমে আইপিও যত দ্রুত সম্ভব, কম খরচের মাধ্যমে বাজারে নিয়ে আসা যায় তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চিফ অপারেটিং অফিসার সাইফুর রহমান মজুমদার এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট সাইদুর রহমান অনুষ্ঠানে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের বক্তব্য শুনেন। এরপর তাদের প্রস্তাবগুলোর পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি প্রদান করেন।
বিএসইসি ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আয়োজিত গণশুনানিতে অন্যান্যদের মধ্যে সিডিবিএলের এমডি শুভ্র কান্তি চৌধুরীসহ যোগ্য বিনিয়োগকারী এবং পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।