অর্থনীতিতে অবদানের জন্য কম সময়ে আইপিওর সাবক্রিপশন
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২০-১১-৩০ ১৯:৫৬:২৪
একটি গতিশীল পুঁজিবাজার গড়তে এবং পুঁজিবাজার দেশের জিডিপি অনুপাতে অর্থনীতিতে অবদান রাখতে কম সময়ে ও সহজ নিয়মে আইপিওর সাবক্রিপশন পদ্ধতি চালু করতে চাই আমরা । এতে সাধারণ, ক্ষতিগ্রস্ত এবং যোগ্য ও এনআরবি বিনিয়োগকারী সবাই অংশগ্রহণ করবেন। সঠিকভাবে তারা প্রতিনিধিত্ব করবে বলে মনে করেন বিএসইসির কমিশনার আব্দুল হালিম।
সোমাবার (৩০ নভেম্বর) ‘আইপিওর সাবক্রিপশন নিয়ে গণশুনানি’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) পদ্ধতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনার পাশাপাশি আইপিওর পদ্ধতি আরও সহজ করে সময় কমিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে সাবক্রিপশন প্রয়োজন।
গণশুনানির উদ্বোধন করেন বিএসইসির কমিশনার শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ।
শুনানিতে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা আইপিওতে রোড-শো আইন বাতিল করা, বিএসইসি কোনো কোম্পানিকে আইপিওর বিডিং অনুমোদন দেওয়ার পর চূড়ান্ত অনুমোদন নিয়ে একটি প্রসপেক্টাস তৈরি করার প্রস্তাব করেন। বর্তমানে একাধিকবার প্রসপেক্টাস ছাপাতে হয়।
এছাড়াও সাবস্ক্রিপশন পদ্ধতির সময় কমিয়ে আনা, আইনগুলো সহজ করা এবং আইপিওতে আবেদন করতে সেকেন্ডারি বাজারে ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
বর্তমানে কোন কোম্পানিকে আইপিওর অনুমোদন দেওয়ার পর থেকে স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন শুরু হতে প্রায় ৬০ কার্যদিবসের মত সময় অপেক্ষা করতে হয়। অর্থাৎ লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়। গণশুনানিতে বিএসইসির পক্ষ থেকে প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করা হবে বলে জানানো হয়।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চিফ অপারেটিং অফিসার সাইফুর রহমান মজুমদার এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট সাইদুর রহমান অনুষ্ঠানে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের বক্তব্য শুনেন। এরপর তাদের প্রস্তাবগুলোর পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি প্রদান করেন।
বিএসইসি ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আয়োজিত গণশুনানিতে অন্যান্যদের মধ্যে সিডিবিএলের এমডি শুভ্র কান্তি চৌধুরীসহ যোগ্য বিনিয়োগকারী এবং পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।