রাজশাহীর বাগমারায় আহমদিয়া মুসলিম জামাতের (কাদিয়ানি) মসজিদে বোমা হামলার ঘটনায় নিহত যুবকই বোমা বহনকারী বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শনিবার দুপুরে নিহত যুবকের ময়নাতদন্ত শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. এনামুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ওই যুবক বোমার আঘাতেই মারা গেছেন। কেননা তার শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার লিভার থেকে চারটি স্প্লিন্টার বের করা হয়েছে। বোমাটি বাম দিকে থাকায় তার শরীরের বাম অংশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার বাম হাতেও বেশ ক্ষত রয়েছে।
এর আগে সকালে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান, নিহত যুবক আত্মঘাতী কি-না তা এখনও নিশ্চিত নয়। মন্ত্রী বলেন, এটা আত্মঘাতী হামলা হবে কেন। বোমা নিয়ে এসেছিল। বিস্ফোরক তো যেকোনো সময় ফেটে যেতেই পারে। তবে যাই হোক, আমরা তদন্তের পরই সবকিছু জানাবো।
এদিকে, ওই যুবকের পরিচয় এখনও শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তার পরিচয় জানার চেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর মচমইল সৈয়দপুর এলাকার থেকে আশরাফ ও শহিদুল নামের দুই ব্যক্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
গতকাল শুক্রবার বাগমারার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের মচমইল সৈয়দপুর বকপাড়া আহমদিয়া জামে মসজিদে জুমার নামাজে এক যুবক তার কাছে থাকা বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। বিস্ফোরণে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। এ সময় বোমার আঘাতে বেশ কয়েকজন মুসল্লি আহত হন। তাঁদের রাজশাহী, বাগমারা ও মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস