পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ১৫ হাজার কোটি টাকার দুটি আলাদা তহবিল গঠনের যে প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকে দিয়েছে তার জন্য বিকল্প পথ বা মডেল নিয়ে ভাবছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, বিএসইসির প্রস্তাবের পর বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলামও এমনটিই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিএসইসির প্রস্তাবটি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি নির্ধারকরা নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, সরাসরি তহবিলে অর্থ জোগানের পথে যেতে চায় না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাই ঋণ বিতরণের বিকল্প মডেল নিয়ে ভাবছি আমরা। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে জানানো হবে বিএসইসিকে।
জানা গেছে, গত ১০ নভেম্বর বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরকে চিঠি দেন।
এতে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (আইসিবি) জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা চাওয়া হয়। আর আইসিবিসহ স্টক ব্রোকার, স্টক ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংকের জন্য চাওয়া হয় আরও ১০ হাজার কোটি টাকা।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এই বিশেষ তহবিলে তিন থেকে চার শতাংশ সুদে ১০ বছর মেয়াদী ঋণ দেবে। আর তহবিলের বিনিয়োগের সুদ হার হবে চার শতাংশ, যার এক শতাংশ সিংকিং ফান্ডে জমা থাকবে।
সিংকিং ফান্ড এমন একটি তহবিল যা দায় পরিশোধ অথবা সম্পদ পরিবর্তনে কাজে লাগানো হয়।
এই তহবিলের অর্থ মার্চেন্ট ব্যাংকার, স্টক ব্রোকারস ও স্টক ডিলার ইস্যুকৃত করপোরেট বন্ড/ডেট সিকিউরিটিজে (যার কুপন হার হবে ছয় থেকে সাত শতাংশ) বিনিয়োগ করা হবে বলে জানায় বিএসইসি।
বিষয়টি নিয়ে বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সানবিডিকে বলেন, পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। এরমধ্যে গতমাসে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে তহবিল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছি। সেই অনুযায়ী কাজগুলো করা হচ্ছে। আশা করছি বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক চিন্তা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।