চলমান মহামারি করোনাভাইরাসের ধাক্কা লেগেছে বৈশ্বিক অলিভ অয়েল শিল্পে।চলতি ২০২০-২১ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে যে পরিমাণ অলিভ অয়েল উৎপাদন হবে, পণ্যটির চাহিদা থাকবে তার চেয়েও বেশি। উৎপাদন ও চাহিদার ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়ে দেখা দেবে ঘাটতি। এ ঘাটতির কারণে আগামী দিনগুলোয় আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে যেতে পারে অলিভ অয়েলের দাম। খবর অলিভ অয়েল টাইমস।
জুয়ান ভিলার বৈশ্বিক অলিভ অয়েল শিল্পের একজন প্রভাবশালী বাজার বিশ্লেষক ও পরামর্শক। সম্প্রতি স্পেনভিত্তিক শিল্পসংশ্লিষ্ট এক ওয়েবিনারে অংশ নেন জুয়ান। এ সময় তিনি জানান, ২০২০-২১ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে সব মিলিয়ে ৩১ লাখ ১০ হাজার টন অলিভ অয়েল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, যা আগের মৌসুমের তুলনায় ৩ দশমিক ৪ শতাংশ কম। তবে একই মৌসুমে অলিভ অয়েলের বৈশ্বিক চাহিদা দাঁড়াতে পারে ৩১ লাখ ৪০ হাজার টনে। সেই হিসাবে মৌসুমজুড়ে অলিভ অয়েলের সম্মিলিত উৎপাদনের তুলনায় বৈশ্বিক চাহিদা ৩০ হাজার টন বাড়তি থাকতে পারে।
ইউরোপ ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোয় কমছে অলিভ অয়েল উৎপাদন। পণ্যটির সম্ভাব্য ঘাটতির পেছনে করোনা মহামারী ও উৎপাদন ব্যাহত হওয়াকে চিহ্নিত করেন জুয়ান ভিলার। তার মতে, ইউরোপের দেশ স্পেন, ইতালি, গ্রিস, পর্তুগালে সবচেয়ে বেশি অলিভ অয়েল উৎপাদন হয়। ২০২০ সালের শুরুর দিকে ইউরোপের এসব দেশ করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি ভুগেছে। সংক্রমণ এড়াতে টানা লকডাউনে ছিল দেশগুলো। সংক্রমণ এড়াতে বন্ধ ছিল উৎপাদন কার্যক্রম। দীর্ঘ সময় ধরে মানুষ ছিল পুরোপুরি ঘরবন্দি। মূলত করোনা মাহামারী ও লকডাউন ইউরোপের দেশগুলোয় অলিভ অয়েলের উৎপাদন কমিয়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে যাচ্ছে পণ্যটির বৈশ্বিক উৎপাদনে।
সানবিডি/এনজে/২:১৮/১০.১২.২০২০