বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নাইকো দুর্নীতি মামলায় চার্জশুনানি পিছিয়েছেন আদালত।
সোমবার এই মামলাটিতে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে না পারায় তার পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আমিনুল ইসলাম নতুন এই দিন ধার্য করেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আবেদন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া।
শুনানিতে তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম সম্প্রতি লন্ডন থেকে চিকিৎসা করিয়ে দেশে ফিরেছেন। তিনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ হননি। অসুস্থ থাকার কারণে তিনি আজ আদালতে আসতে পারেননি।’
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়। যেখানে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় বেগম জিয়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা রাষ্ট্রের ক্ষতি করেছেন ।
এ মামলায় ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এতে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭শ ৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয়।
পরে এ মামলা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদনে ২০০৮ মালের ৯ জুলাই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রুল জারি করেন। এ রুলের উপর হাইকোর্টে গত ১৯ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়ে শেষ হয় ২৮ মে। এরপর আদালত রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখেন। এরপর ১৮ জুন রুল খারিজ করে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
খালেদা জিয়া ছাড়া এ মামলার অপর আসামিরা হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সে সময়কার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এদের মধ্যে সেলিম ভুঁইয়া নাইকোর কাছ থেকে কাশেম শরীফের মাধ্যমে ৩ কোটি টাকা ঘুষ নেয়ার কথা স্বীকার করেন। সে সময় সাবেক প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে নাইকোর কাছ থেকে একটি গাড়ি উপহার নেয়ার অভিযোগ উঠেছিল।