থার্টি ফার্স্ট নাইটে নিরাপত্তার স্বার্থে রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকার আবাসিক লোকজনকে ৮টার মধ্যে বাসায় প্রবেশ করার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এসব এলাকায় ৮টার পর বহিরাগতদের প্রবেশে কড়াকড়ি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে থার্টি ফার্স্ট নাইটে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে একথা জানান ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি বলেন, ‘৮টার পর এসব এলাকায় চেকপোস্টের সংখ্যা বাড়বে। কড়া তল্লাশিও চালানো হবে। বহিরাগতদের এসব এলাকায় প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে।’
তিনি আরো জানান, এসব এলাকার মধ্যে গুলশান, বনানী ও বারিধারায় প্রবেশে শুধু কাকলীর গেট খোলা থাকবে। অন্যসব রাস্তা পরদিন ভোর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত চলাচল নিয়ন্ত্রিত হবে। ঢাবি কর্তৃপক্ষ তা নিয়ন্ত্রণ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তদারকিতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) ও পুলিশ এ কার্যক্রমে অংশ নেবেন। ঢাবি ক্যাম্পাসের স্টিকারযুক্ত ছাড়া কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না।
হাতির ঝিলেও সন্ধ্যার পর থেকে জন-সমাবেশ করা নিষিদ্ধ। তবে যানবাহন চলতে পারবে। এখানেও থাকবে কড়া নিরাপত্তা। এছাড়া রাজধানীর কোনো উন্মুক্ত স্থানেই সমাবেশ ও উৎসব নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে ইনডোরে (অডিটরিয়াম, হোটেল, রেস্তোরাঁ প্রভৃতি) অনুষ্ঠান-উৎসব করা যাবে। সেক্ষেত্রে পুলিশ নিরাপত্তাও দিবে বলে জানান আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি আরো জানান, থার্টিফার্স্ট নাইটে সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত কোনো বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রও বহন করা যাবে না এবং রাজধানীর সকল বার বন্ধ থাকবে। ব্রিফিংয়ে ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস