ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটের (ওটিসি) পুনর্গঠন করতে যাচ্ছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইস)। ইতোমধ্যে ওটিসি মার্কেটের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি। এবার ওটিসি মার্কেটের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চায় বিএসইসি। এই জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আজ রোববার এমন একটি নির্দেশনা দিয়ে ডিএসই ও সিএসইকে চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। আগামী ১৭ তারিখ সকল কোম্পানিকে আলাদা আলাদা চিঠি দিবে কমিশন। চিঠিতে বলা হয়েছে, ওটিসির ২১টি কোম্পানি নিয়মিত আর্থিক প্রতিবেদন জমা দেয়। এই কোম্পানিগুলোর সর্ব শেষ অবস্থা জানার জন্য বিশেষ নিরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ডিএসই ও সিএসই বিশেষ নিরীক্ষা নিয়োগের কাজ করবে। অন্যদিকে বাকী যে ৪৩টি কোম্পানি নিয়মিত আর্থিক প্রতিবেদন জমা দেয় না; তাদের আর্থিক প্রতিবেদনের সর্বশেষ অবস্থা, কোম্পানিগুলোর সম্পদ কী আছে? কী পরিমাণ জমি আছে এবং অপারেশনের কী অবস্থা তা জানার নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।
আলাদা চিঠিতে কোম্পানিগুলোকে শুনানীর জন্য ঢাকা হবে। এখানেও কোম্পানির সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাবে বিএসইসি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিশনের কর্মকর্তারা সানবিডিকে বলেন, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে বিএসইসি। এই জন্য ওটিসি মার্কেটকে কমিশন নতুন করে সাজাতে চায়।
স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত অস্তিত্বহীন ও দুর্বল ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশে মূলবাজার থেকে আলাদা করে ওটিসি বাজারে স্থানান্তর করা হয়। এ ছাড়া নির্ধারিত সময়ে যেসব কোম্পানি কাগুজে শেয়ার থেকে ইলেকট্রনিক শেয়ারে রূপান্তরে ব্যর্থ হয়েছে, সেগুলোকে মূলবাজার থেকে ওটিসি বাজারে স্থানান্তর করা হয়।
উল্লেখ, ২০০৯ সালে ডিএসইতে ওটিসি মার্কেট চালু করা হয়। ছোটো মূলধনের কোম্পানিগুলোর তালিকাভূক্তির জন্য এ বাজারের জন্ম হলেও নতুন কোনো কোম্পানি এ বাজারে আসেনি। বরং মূল মার্কেটে কিছু মন্দ কোম্পানি যারা নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করা,উৎপাদন বন্ধ থাকা,স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্তি ফি পরিশোধ না করাসহ নানা কারণে ওটিসিতে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওটিসি বাজারে ৬৪টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে।
পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন