অপরাধের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে: শিল্প প্রতিমন্ত্রী
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২০-১২-১৬ ১৫:২৮:৪৯
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, সকল ধরনের অপরাধমূলক কাজের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে। এমনকি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও অন্যায় করে ছাড় পাচ্ছেনা।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার এ এইচ এম মাসুম বিল্লাহর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, শিল্প প্রতিমন্ত্রী ১৬ ডিসেম্বর ভোরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশ্বের ৫০টি দেশের প্রবাসী বাংলাদেশী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে একথা বলেন।
সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক এমপি, সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বক্তৃতা করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জার্মান শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান ও ইঞ্জিনিয়ার কাজী আসিফ হোসেন দ্বীপ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু কখনও জনগণকে একা রেখে পালিয়ে যাননি। দেশের মানুষকে পাকিস্তানি হানাদারদের পাশবিক নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করতে তিনি বারবার কারাবরণ করেন। মাত্র নয় মাসে বাংলাদেশ স্বাধীন হবে এটি কেউই ভাবতে পারেনি। এত অল্প সময়ে স্বাধীনতা অর্জনের উদাহরণ ইতিহাসে বিরল।
শুধুমাত্র জাতির পিতার ক্যারিশমেটিক নেতৃত্ব ও তাঁর ওপর জনগণের অবিচল আস্থার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস দেশে বিদেশে বসবাসরত নতুন প্রজন্মের নিকট তুলে ধরতে হবে। বৈধভাবে দেশে রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করতে প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি । প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের ফলে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও অর্থনৈতিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাক না দিলে বাংলাদেশ কখনোই স্বাধীন হত না। তাঁর আহবানে সাড়া দিয়ে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে আপামর জনসাধারণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১টি বছর বাংলাদেশে মারাত্মকভাবে পিছিয়েপড়ে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন আবার উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে।
জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, স্বাধীনতার পর অল্প সময়ের মধ্যেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধান প্রণয়ন সহ বহু উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের ভিত্তি তৈরি করেছিলেনন। জাতির পিতা সেসকল কাজ বাস্তবায়ন করতে না পারলেও তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছেন। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের মতো বিশাল প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের সক্ষমতার পরিচয় বহন করে। পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে দেশের অর্থনীতির চিত্রপট আরো ইতিবাচকভাবে বদলে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জার্মানি শাখার সভাপতি এ কে এম বসিরুল আলম চৌধুরী, ডেনমার্ক শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সুইডেন শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর কবীর, রাশিয়া শাখার সভাপতি ড. হাবিবুর রহমান শেখ, সিঙ্গাপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক আল আমিন, চীন শাখার সভাপতি মোঃ জনি, জাম্বিয়া শাখার সভাপতি ড. মুহাম্মদ নুরুল হোসেন, কুয়েত শাখার উপদেষ্টা আকবর হোসেন, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ড. রাব্বি আলম, পর্তুগাল শাখার সভাপতি জহিরুল আলম জসিম, ফিনল্যান্ড শাখার সভাপতি মাঈনুল ইসলাম, স্পেন শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিজভী আলম প্রমুখ।
সানবিডি/নাজমুল