পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্টরা ফেক! এবং, ফেকদের নিয়ে-ই দেখা দেয় যত সমস্যা! তাই, তাঁর এমন-ই প্রশ্ন, পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্টরা সত্যি-ই কমিউনিস্ট? আর, এ ভাবেও পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্টদের ফের আক্রমণ করলেন তসলিমা নাসরিন৷
কিন্তু, কেন? কারণ, তসলিমা নাসরিনকে আদর-যত্ন করেননি পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্টরা! অথচ, কেরলের কমিউনিস্টরা তাঁকে আদর-যত্ন করেছেন! আর তাই, কেরলের কমিউনিস্টরা তসলিমা নাসরিনের কাছে সত্যিকারের কমিউনিস্ট হিসেবে এখন বিবেচিত হচ্ছে৷ এবং, ‘লজ্জা-র শিল্পী’ তসলিমা নাসরিনকে শুধুমাত্র আদর-যত্ন করা হয়নি বলেই পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্টরা এখন লেখিকার কাছে ‘ফেক’ রূপে বর্ণিত হচ্ছে৷
রবিবার সন্ধ্যায় তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে তসলিমা নাসরিন কীভাবে পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্টদের আক্রমণ করেছেন? ‘লজ্জা-র শিল্পী’ এ দিন তাঁর ফেসবুকে এমন-ই মন্তব্য করেছেন, পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্টরা তাঁকে রাজ্য থেকে তাড়িয়েছেন৷ কিন্তু, কেরলের কমিউনিস্টরা তাঁকে আদর-যত্ন করেছেন৷ এম এ বেবি, তাঁর বাড়িতে তসলিমা নাসরিনকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন৷ লেখিকার মনে আছে পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্টরা যখন ‘লজ্জা’ লিখেছেন বলে তাঁকে উঠতে-বসতে গালি দিচ্ছেন, তখন প্রবাদপ্রতিম কমিউনিস্ট নেতা ই এম এস নাম্বুদিরিপাদ ‘লজ্জা’-র বিস্তর প্রশংসা করেছেন৷ তাই লেখিকার প্রশ্ন, পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্টরা সত্যিকারের কমিউনিস্ট তো? তাঁর কিন্তু মনে হয় না৷ ফেকদের নিয়ে যত সমস্যা৷
যদিও, রবিবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্টদের প্রথমে ‘ফেক’ বলে মন্তব্য করলেও, কিছু সময় পরে ওই মন্তব্যে কিছু পরিবর্তন করেন তসলিমা নাসরিন৷ বদলে ফেলা ওই মন্তব্যে পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্টদের আর ‘ফেক’ রূপে বর্ণনা করেননি তিনি৷ ফেসবুকে এ দিন কিছু সময়ের মধ্যে পরিবর্তিত তসলিমা নাসরিনের মন্তব্য এমন: পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্টরা তাঁকে রাজ্য থেকে তাড়িয়েছেন৷ কিন্তু কেরলের কমিউনিস্টরা তাঁকে আদর-যত্ন করেছেন৷ এম এ বেবি, তাঁর বাড়িতেতসলিমা নাসরিনকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন৷ লেখিকার মনে আছে পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্টরা যখন ‘লজ্জা’ লিখেছেন বলে তাঁকে উঠতে-বসতে গালি দিচ্ছেন, তখন প্রবাদপ্রতিম কমিউনিস্ট নেতা ই এম এস নাম্বুদিরিপাদ ‘লজ্জা’-র প্রচুর প্রশংসা করেছেন৷ পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্টরা সত্যিকারের কমিউনিস্ট তো? তাঁর কিন্তু বিস্তর সংশয়৷
গত নভেম্বর মাসে-ও পশ্চিমবঙ্গের পূর্বতন বামফ্রন্ট এবং বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকারকে একই সঙ্গে আক্রমণ করেছিলেন তসলিমা নাসরিন৷ সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক-কে কেন্দ্র করেও সেই সময় তিনি আক্রমণ করেছিলেন৷ তেমনই, কলকাতার বুদ্ধিজীবীদের একাংশের ভূমিকা নিয়েও গত ২২ নভেম্বর ফের প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন তসলিমা নাসরিন৷ কিন্তু, যেভাবে শুধুমাত্র আদর-যত্নের ভিত্তিতে-ই কেরলের কমিউনিস্টরা সত্যিকারের, আর, কলকাতায় তাঁকে থাকতে দেওয়া হয়নি বলে পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্টদের ‘ফেক’ রূপে এ দিন ফেসবুকে বর্ণনা করেছেন তসলিমা নাসরিন, সেই বিষয়টি নিয়েও কম উঠছে না বিভিন্ন মহলের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন এবং পাল্টা প্রশ্ন৷ কোনও কোনও মহল থেকে এমন-ও বলা হচ্ছে, তসলিমা নাসরিনের এই আদর-যত্নের যুক্তি কি অতি সাধারণ ভাবনা-চিন্তার প্রতিফলন?