বাংলাদেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে নীতিনির্ধারণী পরামর্শ প্রদান বিষয়ে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং জার্মানভিত্তিক ফ্রেডরিক নুউম্যান ফাউন্ডেশনের (এফএনএফ) গত রবিবার একাটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
এফবিসিসিআইর সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইর মহাসচিব মীর শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদ এবং এফএনএফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. নাজমুল হোসেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এ সময় এফবিসিসিআইর সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এফবিসিসিআইর সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহ্মাদ বলেন, মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে গেলে আমাদের দক্ষ শ্রমশক্তি সবচেয়ে বেশি জরুরি। তাই আমাদের দক্ষ জনশক্তি তৈরির ক্ষেত্রে বেশি মনোযোগী ও গুরুত্ব দিতে হবে। টেকসই অর্থনীতির বুনিয়াদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও দক্ষ লোকবল সৃষ্টির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। এ ক্ষেত্রে এফবিসিসিআই সহযোগিতা করে যাবে। তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রে তখনই সুশাসন বিরাজ করে যখন রাষ্ট্রে শক্তিশালী ও টেকসই অর্থনীতি বিদ্যমান থাকে।
এফএনএফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. নাজমুল হাসান তাদের কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন। বিশ্বের ৬৬ট দেশে এফএনএফ কাজ করছে বলে তিনি জানান। তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সুশাসন, গণতন্ত্র, বাজার অর্থনীতি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় এফএনএফ নীতিগত পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছে। আর এরই ভিত্তিতে এফএনএফ বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সহযোগিতায় সভা, সেমিনার, সরকারি-বেসরকারি সংলাপ, প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও প্রকাশনার মাধ্যমে বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে এবং এর ধারাবাহিকতায় এ বছর নতুন করে এই সমঝোতা চুক্তি।
জানা গেছে, চুক্তিটি আগামী এক বছর বলবৎ থাকবে। এর আওতায় এফবিসিসিআই ১৬টি সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সেমিনার এবং প্রাইভেট সেক্টর উন্নতি লক্ষ্যে এই কর্মসূচি ও রেশম শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক দুটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং একটি বিদেশে শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, গত বছর জানুয়াার ২০১৫ এফবিসিসিআই ও এফএনএফের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল এবং এর আওতায় ঢাকায় বরিশাল, রাজশাহী, সেমিনার ও ভারতে শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৫ সালে সমঝোতা চুক্তির কাজ সম্পন্ন করার পর আগামীতেও এর মেয়াদ বাড়ানো হবে বলে এফবিসিসিআই আশা করে।