দার্জিলিংয়ের কমলা ও মাল্টা চাষে ভাগ্য বদলে গেছে কৃষক আব্দুল করিমের। এ বছর তিনি ১৭২ মণ মাল্টা ও দার্জিলিংয়ের কমলা বিক্রি করে নগদ পেয়েছেন ৬ লক্ষাধিক টাকা। এর বাইরে এসব ফলের চারা বিক্রি করেছেন ১৫ হাজার টাকার। তার এ সফলতা দেখে আশপাশের কৃষকরাও মাল্টা ও কমলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
যশোর জেলার মণিরামপুরের মুজগুন্নী গ্রামের মৃত আকাম গাজীর ছেলে আব্দুল করিম। এলাকার মানুষের কাছে মাল্টা করিম নামেই পরিচিত তিনি। ২০০৮ সালে বাড়িতে মুরগি খামার গড়ে তোলেন তিনি। কিন্তু বার্ডফ্লু রোগে তার সে স্বপ্ন সবই শুরুতেই ভেঙে যায়।
কৃষক আব্দুল করিমের মাল্টা-কমলা বাজারের যেকোনো মাল্টা বা কমলার চেয়ে স্বাদে অনেক ভালো, রঙও বেশ সুন্দর। এছাড়া আকারও বেশ বড়। তার এ ক্ষেত দেখতে এবং নার্সারি থেকে চারা নিতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মানুষ।
নড়াইলের লোহগড়া এলাকা থেকে আসা ইমরান হোসেন বলেন, আমি মূলত পেয়ারা ও কুলবরই চাষ করি। মানুষের কাছে করিম ভাইয়ের মাল্টা ও দার্জিলিংয়ের কমলার গুণগান শুনে এসেছি। ক্ষেতে এসে ফল দেখে ভালো লাগায় ১০০ পিস মাল্টা ও ১০০ পিস কমলার চারা নিয়েছি।
সানবিডি/এনজে