মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের জন্মদিন আজ। ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
সাদা মনের মানুষ হিসেবে পরিচিত রাষ্ট্রপতি হামিদ কখনো জাঁকজমক আয়োজনে তাঁর জন্মদিনে উদযাপন করেন না, করতেও দেন না। তারপরেও গত কয়েক বছর ধরে বঙ্গভবনে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আয়োজনে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠান তাঁর জন্মদিন উদযাপন হতো। এবার সেই অনুষ্ঠানও হচ্ছে না করোনার জন্য।
রাষ্ট্রপতি হামিদের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৫৯ সালে, ছাত্রলীগে যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে। তারপর, আর পিছনে তাকাতে হয়নি। জেল-জুলুম, অত্যাচার নির্যাতন তাঁকে দমাতে পারেনি। টলাতে পারেনি লোভ প্রলোভনেও।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১৮ আসন থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ। এরপর স্বাধীন দেশে আরও ছয়বার তিনি সংসদে নিজের এলাকার মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন।
আবদুল হামিদ জাতীয় সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন দুই দফা। ২০১৩ সালে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর বঙ্গভবনের বাসিন্দা হন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে ২০১৩ সালে আবদুল হামিদকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্বে ধরাবাঁধা নিয়মের ছকে থেকেও বিভিন্ন অনুষ্ঠান স্বভাবসুলভ হাস্যরসের মধ্যে দিয়ে তিনি পৌঁছে গেছেন মানুষের খুব কাছে।
সানবিডি/নাজমুল