পুরনো ব্যর্থতা ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। একই পথে হাঁটছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। নতুন বছরে নতুন উদ্যমে জাতীয় দলকে এগিয়ে নেওয়ার নতুন চ্যালেঞ্জ মাশরাফির সামনে।
নতুন বছরকে আমন্ত্রণ জানাতে ব্যস্ত সবাই। মাশরাফিও নতুন বছরের লক্ষ্য জানালেন, ‘অনেক বড় বড় টুর্নামেন্ট আমাদের সামনে আসছে। আমাদের পুরো ফোকাসটাই ওই দিকে। আগামী ৩ তারিখ পর্যন্ত আমাদের বিরতি আছে। এখন সবাই যে যার মতো সময় কাটাচ্ছে। তবে ৩ তারিখ থেকে আমাদের সবার অন হাউজ হতে হবে, কারণ অনেক বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে আসছে। আমাদের এ বছরের মতোই ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’
বছরের প্রথম চার মাস টানা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ওপর থাকবে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তাবিত সিরিজ হলে জানুয়ারির মাঝপথ থেকেই মাঠে নামবে টাইগাররা। এরপর এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দুই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করাই মূল চ্যালেঞ্জ মাশরাফি এন্ড কোংয়ের।
স্বপ্নের মতো এক বছরকে বিদায় জানাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। আন্তর্জাতিক অঙ্গণে এর থেকে আর সুখকর বছর এর আগে একটিও কাটায়নি বাংলাদেশ। দলীয় পাফরম্যান্সে বাংলাদেশ ছিল সব থেকে এগিয়ে। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা, তিন বিশ্বসেরা দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়, বছরের শেষ প্রান্তে জিম্বাবুয়েকে হারানো; সব কিছুতেই বাংলাদেশের জয়-জয়কার।
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও উজ্জ্বল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহর জোড়া সেঞ্চুরি, মুস্তাফিজুর রহমানের নয় ম্যাচে ২৬ উইকেট, তামিমের পরপর দুই সেঞ্চুরি, পাকিস্তানের বিপক্ষে মুশফিকুর রহিম ও সৌম্যর সেঞ্চুরি। এক কথাই, ২০১৫ সালকে বাংলাদেশে ক্রিকেটে স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখতেই হবে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস