বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসী শ্রমিকদের চাকরি হারানো বা কাজ না পাওয়ার শঙ্কায় রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। কিন্ত মহামারির প্রভাবে গত এপ্রিলে রেমিট্যান্স কিছুটা কমলেও তারপর থেকে চলছে ঊর্ধ্বগতির ধারা। তবে সকল আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথমার্ধে দেশে রেমিটেন্সের প্রবাহ বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ বা ৩ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার।
বিদায়ী ২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ ৪৩ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করায় রেমিটেন্স অনেক বড় অবদান রেখেছে। সাত মাস আগেও গত বছরের জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ ছিল ৩৩ বিলিয়ন ডলার।
গত ৩০ ডিসেম্বর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছিলেন, রিজার্ভের আকার একটি মাইলফলক অর্জন করেছে। যা করোনা প্রাদুর্ভাবের পরেও দেশের অর্থনৈতিক শক্তি প্রদর্শন করে। রেকর্ড পরিমাণ রেমিটেন্স পাঠানোর লক্ষ্য অর্জন করায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের ধন্যবাদও জানান অর্থমন্ত্রী।
মহামারি করোনার বছরেই ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। এর পরিমাণ প্রায় পৌনে ২২ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে করোনাকালে প্রবাসীরা বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
সানবিডি/এনজে